পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সাড়ে তিন লাখ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। এ মর্মে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এ পরিমাণ সেনা সদস্য চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইসিপির পক্ষ থেকে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা রয়েছে যেসব ভোট কেন্দ্রে সেগুলোতেই শুধুমাত্র সেনা মোতায়েন করা হবে বলে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেনাবাহিনীকে ব্যালটপেপার ছাপানো ও বন্টন-পরিবহনের দায়িত্বও দিতে চায় দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এছাড়াও বাড়তি নিরাপত্তা আকারে ২০ হাজার সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হতে পারে বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছে সেসব কেন্দ্রে ওই সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সেই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বেশ কিছু মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এই প্রার্থীরা অবশ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। ২২ জুন পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করে ২৭ জুনের মধ্যে এসব আপিলের সুরাহা করবে কমিশন। পরদিন ২৮ জুন বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৯ জুন পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। আর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৩০ জুন।