জাপান ২ – ১ কলম্বিয়া (গ্রুপ ‘এইচ’)
কাগাওয়া ৬ (পে) কুইনতেরো ৩৯
ওসাকো ৭৩
চলতি বিশ্বকাপ আসর যেন পসরা সাজিয়ে বসেছে অঘটন আর অনিশ্চয়তার। তারই ধারাবাহিকতা মেনে এবার জাপান কলম্বিয়া ম্যাচে সূর্যোদয়ের দেশ জাপানের কাছে পরাস্ত লাতিন দল কলম্বিয়া। অথচ, এদিনের আগে বিশ্বকাপে চারবার দক্ষিণ আমেরিকান দেশের মুখোমুখি হয় জাপান, একবার ড্র করলেও বাকি তিনে হার। কলম্বিয়াও তিন ম্যাচ খেলেছে জাপানের বিরুদ্ধে। এক ড্র, দুই জয়ে তারা ছিল অপরাজেয়। কিন্তু তত্ত্ব, পরিসংখ্যান মাঠের বাইরেই সুন্দর। এইচ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেমেছে দু’দলই। ৬ মিনিটেই পেনাল্টি পায় জাপান। দলের অন্যতম বড় তারকা শিনজি কাগাওয়ার সেখান থেকে গোল করতে ভুল হয়নি। ম্যাচে দুইদলই লড়েছে ভালমতো। ৩৯ মিনিটে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান মিডফিল্ডার হুয়ান কুইনতেরো। প্রথমার্ধ্বে আর গোল হয়নি। ৭৩ মিনিটে জাপানিজ ফরোয়ার্ড ওসাকো গোল দিলে উল্লাসে মাতে জাপান, ফুটবলপ্রেমীরা দেখতে পান আরেকটি অঘটন!
ম্যাচসেরা : ইয়ুয়া ওসাকো (জাপান)
•
সেনেগাল ২ – ১ পোল্যান্ড (গ্রুপ এইচ)
চিওনিক ৩৭ (ও) ক্রাইচোউইয়াক ৮৬
নিয়াং ৬০
এইচ গ্রুপ যেন অঘটনের বন্যতায় মেতেছে গত রাতে! দিনের দ্বিতীয় খেলায়ও অব্যাহত অঘটনের ধারা। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপে পোল্যান্ডকে হারিয়েছে সেনেগাল। এর আগে কখনোই একে অপরের মুখোমুখি হয়নি পোল্যান্ড সেনেগাল। ৩৭ মিনিটে ডিফেন্ডার চিওনিক আর গোলকিপার সেজেনির ভুলে পিছিয়ে পড়ে পোলিশরা। পিছিয়ে থেকে টানেলে যায় তারা। বিরতির পর ফিরে এসে আফ্রিকান দলটি খেলে আগ্রাসী খেলা। ৬০ মিনিটে ম্যাচসেরা নিয়াংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। ৮৬ মিনিটে পোল্যান্ডের হয়ে মিডফিল্ড তারকা ক্রাইচোউইয়াক গোল করলে কেবল ব্যবধানই কমে।
ম্যাচসেরা : এম্বায়ে নিয়াং (সেনেগাল)
•
রাশিয়া ৩ – ১ মিশর (গ্রুপ এ)
আহমেদ ফাতি ৪৭ (ও) সালাহ ৭৩ (পে)
চেরিশেভ ৫৯
জাইয়ুবা ৬২
মিশরের বহুদূর পাড়ি দেবার স্বপ্নটা মরে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেই। স্বপ্নবাজ মোহামেদ সালাহর স্বপ্নিল ফর্মে ভর দিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন করে দি ফারাওস। সালাহবিহীন প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে শেষ মূহুর্তে গোল খেয়ে পরাজয়। তবু, স্বপ্ন বেঁচে ছিল। পরের ম্যাচে সালাহ নামবে মাঠে, জাদুকরি কিছু করে দেখাবে। ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এবারের আসরে নিজের ও দেশের প্রথম গোল করেন সালাহই। অবশ্য তার আগেই বিপক্ষ রাশিয়ার স্কোরবোর্ডে লেখা হয়ে গেছে ৩ গোল! গোলশূন্য প্রথমার্ধ্বের পর ডিফেন্ডার আহমেদ ফাতির আত্মঘাতী গোলে স্বাগতিক রাশানদের এগিয়ে যাওয়া, তারপর ৫৯ মিনিটে ইনফর্ম চেরিশেভের গোল, মিনিট তিনেক পর জাইয়ুবার লক্ষ্যভেদে নীলনদে আছড়ে পড়ে মিশর। প্রথম দল হিসেবে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে রাশিয়া। আর সালাহরা? বিদায়ের বিষণ্নতায় বিমুখ!
ম্যাচসেরা : ডেনিস চেরিশেভ (রাশিয়া)