ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক দৃষ্টিভঙ্গি রাখার অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের হত্যার তদন্তের সিদ্ধান্তের এক মাসের মাথায় জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই ফোরাম থেকে সরে দাঁড়ালো যুক্তরাষ্ট্র।
ইউএনএইচআরসির সদস্য দেশগুলোকে ভণ্ড ও মধ্যপ্রাচ্যে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিরাম পক্ষপাতদুষ্টতার কথা বলে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। -খবর এএফপি ও বিবিসির।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি ওয়াশিংটনে এসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে পাশে নিয়ে এই ঘোষণা দেন।
দেশটির ওই দুই কূটনীতিক জোর দিয়ে বলেন, মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় এগিয়ে থাকবে। কিন্তু তাদের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব সংস্থাটি ও বহুপাক্ষিক কূটনীতির প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈরিতার প্রতিফলন ঘটেছে।
এছাড়াও মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া বাবা-মায়েদের কাছ থেকে তাদের শিশুদের বিচ্ছিন্ন করতে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীরা। এর পরই নিক্কি হ্যালি ও মাইক পম্পেওর এই ঘোষণা এসেছে।
"Disappointing, if not really surprising, news. Given the state of #HumanRights in today's world, the US should be stepping up, not stepping back" — UN Human Rights Chief #Zeid following USA decision to withdraw from U.N. Human Rights Council.#StandUp4HumanRights
— UN Human Rights (@UNHumanRights) June 19, 2018
নিক্কি হ্যালির দাবি, কপট ও স্বার্থপরায়ণ সংস্থাটি মানবাধিকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ‘ব্যাপক মাত্রায় ইসরায়েলবিরোধী’ বলে গত বছরই সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন হ্যালি। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, সংস্থাটির সদস্যপদের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত হয়। জেনেভাভিত্তিক এই কাউন্সিলের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষা।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাব্যঞ্জক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে খবরটি বিস্ময়কর নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে একে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল।
For the Trump administration, it's more important to defend Israel from criticism by the UN Human Rights Council than to defend human rights victims in Syria, North Korea, Myanmar and South Sudan–a sadly one-dimensional human rights policy. https://t.co/dtjveAySOG pic.twitter.com/qQSD9Eq20m
— Kenneth Roth (@KenRoth) June 19, 2018