মিশর ০-১ উরুগুয়ে
জিমনেজ ৮৯’
আফ্রিকান দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল উরুগুয়ে। সালাহবিহীন মিশরকে জিমনেজের শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়ে জয় নিয়েই ম্যাচ শেষ করেছে অস্কার তাবারেজের দল।
লাইন আপ :
মিশর (৪-২-৩-১ )
এল শেনাওয়ি, আহমেদ ফাতহি, আলী গাবর, হেজাজী, আবদেল-শাফী, এলনেনি, তারেক হামিদ, ওয়ারদা, এল সাইদ, ত্রেজেগে, মারওয়ান মহসিন
সাব : তারেক হামিদ-মরসি, মহসিন-খারাবা, ওয়ারদা-শবিহ
উরুগুয়ে (৪-৪-২)
মুসলেরা, ককারেস, গডিন, গিমনেজ, ভারেলা, এরাসকায়েতা, বেন্টাকুর, ভেসিনো, নান্দেজ, কাভানি, সুয়ারেজ
সাব : নান্দেজ-সানচেজ, এরাসকায়েতা-রড্রিগেজ, ভেসিনো-টরেইরা
প্রথমার্ধ
সালাহ-সুয়ারেজ লড়াই দেখার প্রত্যাশায় যারা প্রহর গুনছিলেন স্কোয়াড দেখার সাথে সাথেই তাদের চেহারায় নামে রাজ্যের হতাশা। পূর্ণ ফিট না হওয়ায় প্রথমার্ধে সালাহকে নামানোর ঝুঁকি নেননি মিশরীয় কোচ। তাতে পুরো আলোটা নিজের দিকে টেনে নেয়ার সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি সুয়ারেজ। প্রথমার্ধে বলতে গেলে নিষ্প্রভই ছিলেন, যাও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন নষ্ট করেছেন নিদারুন ব্যর্থতায়। উরুগুয়ের আরেক তারকা কাভানিকেও চিনতে হয়েছে জার্সি দেখেই। দলের মূল দুই তারকারই যখন এই হাল তখন উরুগুয়ে কেমন খেলেছে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। সুয়ারেজ-কাভানির নিষ্প্রভতার সুযোগ নেয়ার জন্য যাকে দরকার ছিল সেই ফারাও -র অনুপস্থিতিতে মিশরও তেমন বিপদজনক কোনো আক্রমণ রচনা করতে পারেনি। নামে-ধারে-ভারে উরুগুয়ে মিশর থেকে বেশ এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে অন্তত তার কোনো নমুনা দেখা যায়নি। ফল স্বরুপ যা হবার তাই হয়েছে, গোল শূণ্য প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধ
প্রথমার্ধের খেলা দেখে যারা দ্বিতীয়ার্ধে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তারা যে ভুল করেছেন তা ম্যাচের হাইলাইটস দেখলেই বুঝবেন। দু’দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলেছে। স্বভাবতই সুযোগ বেশি পেয়েছে উরুগুয়ে। একটা সময়তো মনে হচ্ছিল উরুগুয়ে বনাম এল শেনাওয়ির মধ্যে অলিখিত এক লড়াই চলছে। সুয়ারেজকে দুবার এবং কাভানিকে একবার নিশ্চিত গোল বঞ্চিত করে মিশরকে দারুণভাবে ম্যাচে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। কার্লোস সানচেজের কর্ণার থেকে জিমনেজের মাপা হেড চেয়ে দেখা বৈ কিছুই করার ছিলো না মিশরীয় গোলরক্ষকের। সালাহবিহীন খর্ব শক্তির মিশর যেভাবে পাল্লা দিয়ে পুরোটা ম্যাচ লড়েছে তাতে পরবর্তী ম্যাচগুলো নিয়ে আশাবাদীই হতে পারেন মিশর কোচ। ম্যাচটি হারলেও মিশর রক্ষণের প্রশংসা করাই লাগে। আর মিশরীয়রা বুঝেছে গডিন কি জিনিস। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই রক্ষণ তারকা আরো একবার দেখিয়েছেন নিজের জাত। মিশরীয় আক্রমণগুলোকে যেন একাই নৎসাত করে যাচ্ছিলেন অবলীলায়। রক্ষণ নিয়ে না ভাবতে হলেও বিশ্বকাপে যাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে সুয়ারেজ-কাভানির ফর্ম যে তাবারেজের একান্ত কাম্য তা বোধ করি না বললেও চলে।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ : হোসে জিমনেজ (উরুগুয়ে)