তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব চন্দ্র রায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। আসিফের আইনজীবী নুসরাত জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন দিবাগত রাত দেড়টায় তেজগাঁওয়ের এফডিসি এলাকায় নিজের স্টুডিও থেকে আসিফ আকবরকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি টিম।
পরে সিআইডি জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তেজগাঁও থানায় সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের করা একটি মামলায় আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শফিক তুহিন মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চলাইট নামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।
তুহিন এবং আসিফ ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়ে কথাও বলেন। আসিফ আদালতের কাছে দাবি করেন, ফেসবুকে শফিক তুহিন তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নিজে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারতেন। আসিফ আরও দাবি করেন, ফেসবুক লাইভে তিনি আগে আসেননি, শফিক তুহিন আগে এসেছেন। এবং শফিক তুহিন ভুয়া কাগজপত্র প্রকাশ করে তার মানহানি করেছেন। মামলায় শফিক তুহিন দাবি করেছেন, আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে তার (শফিক তুহিন) বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন।
সংগীত জগতে এক সময় আসিফ আকবর, শফিক তুহিন বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আসিফ আকবর সংগীত জগত থেকে প্রায় পাঁচ বছর দূরে থাকার পর বছর দু’য়েক আগে তিনি আবারো ফিরে আসেন। এরই মধ্যে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সেখান থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি বলে দলটির একটি সূত্র জানায়।