পৃথিবীতে গোলাপ ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এক তোড়া গোলাপ দেখলেই আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। হৃদয় নি:সৃত ভালোবাসা বোঝাতে গোলাপের যেমন জুড়ি নেই তেমন গোলাপ সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কার্যকরী। ত্বকের যত্নে গোলাপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ টোটকা।
ঠোঁটের যত্নে গোলাপ : গোলাপের পাপড়ি বেটে তার সঙ্গে দুধ আর মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এটি তুলোর মতো করে ঠোঁটে লাগিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয় ও ঠোঁটে একটি প্রাকৃতিক গোলাপি আভা তৈরি হয়। গোলাপের পাপড়ির রস ও তুলসি পাতার রস মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁট সজীব থাকে। শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
স্কিন টোনার হিসেবে : রোদ থেকে এসে ফ্রিজে রাখা গোলাপ জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব কমে। ত্বক ঠাণ্ডা হয়। এছাড়া গোলাপ পাপড়ি থেতো করে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন এই পাপড়িগুলি ছেঁকে অল্প কর্পূর মিশিয়ে সেই পানি ফ্রিজে রেখে দিন। মুখ ধোয়ার পর এটিকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
রুক্ষ ত্বক থেকে মুক্তি পেতে : ত্বক শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল হলে খানিকটা গোলাপের পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। পনের মিনিট পর ধুয়ে নিন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক থেকে শুষ্কতা দূর হয় ও ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়।
স্কিন কেয়ার : রোদে বেরোনোর আগে গোলাপের রস, আমন্ড অয়েল ও শসার রস মিশিয়ে মুখে লাগান। এতে ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়ার হাত থকে রক্ষা পাবেন। গরমেও সতেজ থাকবে মুখ।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে : চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে গোলাপের পাপড়ির ভূমিকা বেশ কার্যকর। একটি পাত্রে কিছুক্ষণ গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি তুলোয় ভিজিয়ে চোখে লাগিয়ে রাখুন পনেরো মিনিট। এটি নিয়মিত করলে চোখের কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল দূর হবে।
ব্রণ প্রতিরোধে : ব্রণের উপরও গোলাপ বেশ কাজ করে। ব্রণের স্থানগুলোতে গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগালে ব্রণ কমে যায়। বেসনের সঙ্গে গোলাপের পাপড়ি বাটা মিশিয়ে পনেরো মিনিট মুখে লাগালে ব্রণের দাগ দূর হয়।