ঔপন্যাসিক ওয়াল্টার মোসলে’র মতে, একজন ব্যক্তির বুকশেলফ আপনাকে সবকিছু বলে দেয় যা আপনার তার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। দূর্ভাগ্যবশত এখানে উল্লেখিত বইয়ের অধিকাংশই এখন আউট অফ প্রিন্ট। সুখবর হল, পুরনো বইয়ের দোকানগুলোতে বইগুলো এখনো পাওয়া যায়। সেই সাথে, ‘গুটেনবার্গ প্রকল্প’ ও ইন্টারনেট আর্কাইভে কখনো কখনো অনলাইন ভার্সন পাওয়া যায়। তাহলে আলকায়েদা নেতা ‘বিন লাদেনের বুকশেলফ’-এ কী কী বই ছিল দেখে নেয়া যাক–
বিন লাদেনের বুকশেলফ
হ্যান্ডবুক অফ ইন্টারন্যাশনাল ল’
অ্যান্থনি অস্ট
সিভিল ডেমোক্রেটিক ইসলাম: পার্টনারস, রিসোর্স অ্যান্ড স্ট্রাটেজি
চেরিল বেনার্ড
কিলিং হোপ: ইউএস মিলিটারি অ্যান্ড সিআইএ ইন্টারভেনশন সায়েন্স সিন্স ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু
উইলিয়াম ব্লাম
রাফ স্টেট: এ গাইড টু দ্য ওয়ার্ল্ড’স অনলি সুপার পাওয়ার
উইলিয়াম ব্লাম
নেসেসারি ইল্যুশন: থট কন্ট্রোল ইন ডেমোক্রেটিক সোসাইটিস
নোয়াম চমস্কি
ফোরটিফাইং পাকিস্তান: দ্য রোল অফ ইউএস ইন্টারনাল সিকিউরিটি এসিসট্যান্স (শুধু ভূমিকা)
ক্রিস্টিন ফেয়ার অ্যান্ড পিটার চক
হেজেমনি অফ সারভাইভাল: আমেরিকা’স কুয়েস্ট ফর গ্লোবাল ডমিন্যান্স
নোয়াম চমস্কি
আমেরিকা’স ‘ওয়ার অন টেরোরিজম’
মাইকেল চোসাদোভস্কি
কন্সপাইরেটরস হায়ারার্কি: দি কমিটি অফ ৩০০
জন কোলম্যান
নিউ পলিটিক্যাল রিলিজিয়নস, অর অ্যানালাইসিস অফ মডার্ন টেরোরিজম
ব্যারি কুপার
গেরিলা এয়ার ডিফেন্স: এন্টিএয়ারক্রাফট ওয়েপনস অ্যান্ড টেকনিক ফর গেরিলা ফোর্সেস
জেমস ক্রাবট্রি
নিউ পার্ল হারবার: ডিস্টার্বিং কোয়েশ্চেনস অ্যাবাউট দ্য বুশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ৯/১১
ডেভিড রে গ্রিফিন

ক্রিশ্চিয়ানিটি অ্যান্ড ইসলাম ইন স্পেন ৭৫৬-১০৩১ এডি
সিআর হেইনস
দ্য সিক্রেট টিচিং অফ অল এজেস
ম্যানলি হল
ব্লাক বক্স ভোটিং, ব্যালট ট্যাম্পারিং ইন দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি
বেভ হ্যারিস
দ্য ইউএস অ্যান্ড ভিয়েতনাম ১৭৮৭-১৯৪১
রবার্ট হপকিন্স মিলার
মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ব্লান্ডার্স
জন হিউজেস-উইলসেন
এ ব্রিফ গাইড টু আন্ডারস্ট্যান্ড ইসলাম
আইএ ইব্রাহিম
ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন থিউরি অ্যান্ড দ্য এশিয়া-প্যাসিফিক
জন ইকেনবেরি এবং মাইকেল মাস্তানডানো
দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ দ্য গ্রেট পাওয়ারস
পল কেনেডি
ইন পারসুইট অফ আল্লাহ’স প্লেজার
ওয়াসিম আবদুল মাজিদ, এশাম-উদদীন অ্যান্ড ড. নাহা ইব্রাহিম
দ্য ২০৩০ স্পাইক
কলিন ম্যসন
আমেরিকা’স স্ট্র্যাটেজিক ব্লান্ডার্স
উইলার্ড ম্যথিয়াস
সিক্রেট অফ দ্য ফেডারেল রিজার্ভ
এসটাক মুলিন্স
আনফিনিশড বিজনেজ, ইউএস ওভারসিস মিলিটারি প্রিসেন্স ইন দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি
মাইকেল ও’হ্যানলন
কনফেশন অফ অ্যান ইকোনোমিক হিট ম্যান
জন পারকিন্স
দ্য বেস্ট ডেমোক্রেসি মানি ক্যান বাই
গ্রেগ প্যালাস্ট

বাউন্ডিং দ্য গ্লোবাল ওয়ার অন টেরর
জেফারি রেকোর্ড
আল কায়েদা’স অনলাইন মিডিয় স্ট্রাটেজিস: ফ্রম আবু রিউটার টু ইরহাবি ০০৭
হ্যানা রোগান
ক্রসিং দ্য রুবিকন
মাইকেল রুপার্ট
ইমপেরিয়াল হাবরিস
মাইকেল স্কুয়ার
চেকিং ইরানস নিউক্লিয়ার অ্যাম্বিশনস
হেনরি সলোস্কি অ্যান্ড প্যাট্রিক ক্লাউসন
দ্য টেকিং অফ আমেরিকা ১-২-৩
রিচার্ড স্প্রাগ
ব্লাডলিনেস অফ দ্য ইলুমিনাতি
ফ্রিট্জ স্প্রিংমেয়ার
দ্য বেস্ট এনিমি মানি ক্যান বাই
অ্যান্থনি সাটন
অক্সফোর্ড হিস্ট্রি অফ মডার্ন ওয়ার
চার্লস টাউনসেন্ড
ওবামা’স ওয়ারস
বব উড ওয়ার্ড
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আমেরিকান বাহিনী তাদের অভিযানে শুধু ওসামা বিন লাদেনকেই পায়নি, তারা আবিস্কার করেছিল বইয়ের একটি বিশাল সংগ্রহ। এইসব পাঠ-অনুষঙ্গগুলো বিশ্লেষণ করে ক্রমান্বয়ে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যার শিরোনাম দিয়েছে ‘বিন লাদেন’স বুকসেলফ’। তার বাড়িতে প্রাপ্ত ইংরেজি বইগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ডিজিটাল, মুদ্রিত বই পরিমানে কম।
লাদেনের পাঠ তালিকায় কোনো হালকা মানের বই নেই। আলকায়েদা প্রধান বিন লাদেন মনে করেন, চমস্কি এবং প্যালাস্ট এর মতো উচ্চমানের যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমালোচকদের অগ্রাধিকার দেয়া উচিত যখন গুরুতর রাজনীতি, আইন এবং বিশেষ করে ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব পাঠে মনোযোগ দেয়া হয়। তাহলে পরিষ্কার হবে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৯/১১ এর মতো ঘটনা ঘটতে দিয়েছে এবং পরিষ্কার হবে তাদের চালচলন সম্পর্কে।
মজার ব্যাপার হল, মাইকেল স্কুয়ার, যিনি ‘ইমপেরিয়াল হাবরিস’ (যা লাদেনের বইয়ের তালিকায় রয়েছে) লিখেছেন; এক সময় সিআইএ-তে বিন লাদেনকে নজরদারি ইউনিট পরিচালনা করতেন। পুরো সংগ্রহে ডজনের ওপর রিপোর্ট এবং গবেষণাধর্মী প্রকাশনা রয়েছে। যেমন, ৯/১১ কমিশন রিপোর্ট, দি অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট অফ টেরোরিস্ট অ্যাটাক। বইগুলো তার বাড়ির কোথায় পাওয়া গিয়েছে বা তার বিছানার পাশের টেবিলে কোন বইটি পড়ে ছিল সেরকম কিছুর বিবরণ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ দেয়নি।
দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে এমন কিছু বই যা লাদেন পড়তে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। কিন্তু তারা নিশ্চিত বইগুলো তার সাথে বসবাসকারী অন্য ব্যক্তিদের। এই তালিকায় রয়েছে জন বেরারডি এবং মাইকেল ফ্রাই-র দি গ্রাপলার’স গাইড টু স্পোর্স্টস নিউট্রিশন, দি ২০০৮ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (চিলড্রেন এডিশন), ইজ ইট দ্য হার্ট হুইচ ইউ আর আসকিং? (এ সুইসাইড প্রিভেনশন গাইড) এবং দ্য ডেল্টা ফোর্স এক্সট্রিম ২ ভিডিও গেমসের একটি গাইডবই। সেখানে একজোড়া আরবি-ইংরেজি অভিধান এবং ডিসেম্বর ২০১০ সালের ‘পপুলার সায়েন্স ম্যাগাজিন’ -এর ‘বেস্ট ইনোভেশনস অফ দ্য ইয়ার ইস্যুটি।
বি:দ্র: এটি ওসামা বিন লাদেনের অ্যাবোটাবাদের আস্তানায় প্রাপ্ত বইয়ের প্রকৃত তালিকা। তবে ইসলামী বই কী কী ছিল বা আদৌ ছিল কি না তা উল্লেখ করা হয়নি তালিকাটিতে।
লেখাটি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ যুক্তরাজ্যের ইন্ডিপেন্ডেন্ট -এ প্রকাশিত হয়। লেখক পত্রিকাটির কলামিস্ট অ্যালেক্স জনসন। তিনি ‘এ বুক অফ বুকলিস্টস’ শিরোনামের গ্রন্থ রচনা করেছেন যেখানে ওসামা বিন লাদেনের পঠিত গ্রন্থগুলো ‘বিন লাদেন’স বুকশেলফ’ শিরোনামে একটি পরিচ্ছদ রেখেছেন।