প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেও জর্ডানে গণবিক্ষোভ থামেনি

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেও জর্ডানে গণবিক্ষোভ থামেনি

পরিস্থিতি এমন, যেন প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করিয়েও এ যাত্রায় গণবিক্ষোভ থামাতে পারছেন না জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ। বিক্ষোভকারীরা ‘নতুন সরকার পদ্ধতি’র কথা বলছেন। তারা একই সাথে সরকার পরিচালনায় স্বচ্ছতার দাবিও তুলছেন। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দিনকে দিন আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।

আয়কর বাড়ানোর নির্দেশনা সংবলিত একটি বিল এবং এর প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত সপ্তাহে রাস্তায় নামেন জর্ডানের নাগরিকরা।

আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী হানি আল-মুলকি পদত্যাগ করেন। আন্দোলন থামাতে দেশটির রাজতন্ত্রের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পদ্যাগ করানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। পরের দিন মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার অপর সদস্য ওমর রাজ্জাজকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানো হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা রাজ্জাজ বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা। তবে প্রধানমন্ত্রী পদের রদবদলেও আন্দোলন থামায়নি জর্ডানের নাগরিকেরা।

দেশটির জার্কা প্রদেশের ওদাই নোফাল নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আজ আমরা সরকারকে একটি নতুন বার্তা দিতে চাই।”

২৮ বছর বয়সী এই তরুণ আন্দোলনকারী বলেন, “সরকারকে বুঝতে হবে ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে, অতএব নাগরিকদের বিষয়ে কোন কিছু করতে সরকারকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, যা খুশি করলেই চলবে না।”

তিনি বলেন, সরকার যদি অর্থনৈতিক সমস্যায় সত্যিই সমাধান চায়, তাহলে জনগণের ওপর নয় দেশের প্রতিষ্ঠিত বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ওপর করারোপ করতে হবে, বারে বারে জনগণের ওপর এই দায় চাপালে তা কখনোই সম্ভব হবে না।

সিরিয়া ও ইরাকে চলমান যুদ্ধপরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে সরাসরি সবচাইতে বেশি সহায়তা দিয়ে থাকে জর্ডান। তবে দেশটির সাধারণ জনগণের জীবনমান তেমন ভাল নয়, একারণেই গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।