আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি টোয়েন্টিতে শোচনীয় পরাজয় বেশ কিছু প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে অন্যতম সাকিবের অধিনায়কত্ব। ম্যাচ শেষে এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সাকিবের ভুলের খেসারত দিয়েই ললাটে লজ্জাজনক পরাজয়ের তিলক এঁকে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আরো একটি প্রশ্ন এসে যাচ্ছে। দায়টা কি শুধুই সাকিবের?
মাশরাফি পূর্ববর্তী জামানায় একদফা অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলেছিলেন সাকিব। ব্যাট-বল হাতে তিনি যতটা উজ্জ্বল, অধিনায়ক হিসাবে যে ততটা নন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল সে সময়েই। তারপরও এবার মাশরাফির অবসরের পর বোর্ড আস্থা রাখল সাকিবের উপরেই। যেখানে শর্ট ভার্সনের জন্য পারফরম্যান্সের বিচারে বিবেচিত হতে পারতেন মাহমুদুল্লাহও।
মাত্র এক ম্যাচ শেষেই এমন উপসংহারে আসা হয়েছে, বিষয়টি এমন না। সাকিবের আগের আমল তো বটেই, চলতি মেয়াদেও এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তার অধিনায়কত্ব। বিশেষ করে বোলার সিলেকশনে দুর্বলতা। যার সর্বশেষ নজির আফগানিস্তানের বিপক্ষের প্রথম ম্যাচটিতে।
এখানে মাহমুদুল্লাহর কথা আসছে কেন? কারণ, তিনি দীর্ঘদিন জাতীয় দলে সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। একই সাথে বাংলাদেশের টি টোয়েন্টির মান যাচাই এর একমাত্র আসর; বিপিএলে নিজ দলের অধিনায়কত্ব সামলেছেন দারুণভাবে। লং ভার্সনে দ্বিধা কাজ করলেও শর্ট ভার্সনে মাহমুদুল্লাহ বেশ পরীক্ষিত একজন অধিনায়ক। পুনরায় সাকিবে না গিয়ে, বোর্ড চাইলে মাহমুদুল্লাহকে পরীক্ষা করে দেখতে পারত একবার।
মাশরাফির পর বাংলাদেশের যে ব্যাক্তিটি ভয়ডরহীন অধিনায়কত্ব করেন, এবং ঝুকি নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না, তিনি মাহমুদুল্লাহ। এটা বেশ কয়েকবারই তিনি প্রমাণ করেছেন। সামান্য রসদ নিয়েও বিপিএলে যেভাবে বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন সেটি প্রশংসা পেয়েছিল সবারই, তাই একটা সুযোগ পেতেই পারতেন তিনি।
সাকিবের ক্ষেত্রে বলা লাগে, একটি ম্যাচেই পৃথিবী শেষ না। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি থেকে বের হয়ে এসে ঝুঁকি নিতে হবে। মুখস্ত খেলা দিয়ে যে এখন কিছুই হয় না তা তো চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দিল রশিদ, স্ট্যানিকজাইরা। এখন দেখার বিষয়, সাকিব নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেন নাকি মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে আফসোস বাড়িয়ে চলেন?