চলতি বিশ্বকাপের প্রীতি ম্যাচগুলো চলাকালে রোজা ভাঙতে তিউনিসিয়ার ফুটলাররা অভিনব এক পদ্ধতির শরনাপন্ন হয়েছেন। খেলা চলাকালে দলের গোলরক্ষক ঠিক ইফতারের মুহূর্তে ইন্জুরির অভিনয় করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, সেসময় দলের অন্যরা হালকা কিছু মুখে পুরে নিয়ে রোজা ভেঙে ইফতার সেরে নেন। গোলরক্ষক মুয়াজ হাসানের সহায়তায় তারা এমন কায়দায় ইতোমধ্যে দুটি রোজার সংক্ষিপ্ত ইফতার করেছেন।
এ সপ্তাহে দুটি ম্যাচে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন মুয়াজ। অসুস্থতার ভান ধরে মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি, চিকিৎসাকর্মীরা যথারীতি মাঠে প্রবেশ করেন আর সেই সময়টাকে ইফতারের জন্য ব্যবহার করেন দলের রোজাদার সদস্যরা।
প্রথম পর্তুগালের বিরুদ্ধের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটান তিউনিসিয় ফুটবলাররা। সামান্য পানি আর দু’ একটি খেজুর খেয়ে ইফতার সেরে খেলতে নেমে ছয় মিনিটের মাথায় ১টি গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনে তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে ২-২ ব্যবধানে ধরে রাখতে সক্ষম হন তারা।
গত শনিবার তুরস্কের বিরুদ্ধের একটি ম্যাচের ৪৯ মিনিটে একইভাবে শুয়ে পড়েন মুয়াজ, সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন তিউনিসীয় খেলোয়াড় সীমানা দাগের কাছে গিয়ে কিছু খাবার দাবার খেয়ে তাদের সারা দিনের রোজার ইফতার সারেন।
Fun fact:
Tunisian National team has played the last two friendlies while fasting. So, whenever the time comes to break Fast. The players have an agreement that the GK would go down so they can get a moment to drink some water and get something to eat 😂😂#Ramadan #tunisia pic.twitter.com/4Rgz380ukW— Souhail Khmira (@SKhmira) June 2, 2018
তবে তিউনিসীয় ফুটবলারদের জন্য ভালো খবর হচ্ছে বিশ্বকাপের কোন খেলায় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে না তাদের। কারণ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৮ জুন, ততদিনে মুসলিমদের নিকট পবিত্র মাস রমজানও শেষ হয়ে যাবে।
১২ বছর পর আবারো তিউনিসিয়া বিশ্বফুটবলের এই মহান আসরে খেলার সুযোগ করে নিয়েছে। কোয়ালিফাই পর্বের একটি ম্যাচেও না হেরে বিশ্বকাপ আসরের টিকিট নিশ্চিত করে দেশটি।
