মিয়ানমার ও জাতিসংঘের দুটি সংস্থার মধ্যে সমঝোতা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

মিয়ানমার ও জাতিসংঘের দুটি সংস্থার মধ্যে সমঝোতা

যদিও বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই ঘটনাটি ঘটেছে– তবে রোহিংগা শরণার্থীদের বিষয়ে মিয়ানমার শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘের দুটি সংস্থার সঙ্গে একটি ‘সমঝোতা’য় এসেছে। গত ৩১ মে এই সমঝোতা হয়।

‘মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ আকারে স্বাক্ষরিতব্য এই ‘সমঝোতা’কে রোহিংগাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে বিদ্যমান হতাশাজনক পরিস্থিতির মাঝে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা ‘চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআর বলছে, এই সমঝোতার ফলে আরাকানে কাজের সুযোগ পাবে তারা– যা কার্যত ২০১৭ এর আগস্ট থেকে বন্ধ। আরাকানে বিদেশি সংস্থাগুলোর পরিদর্শনের মধ্য দিয়েই কেবল জানা যাবে সেখানে রোহিংগাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের মতো পরিবেশ নিশ্চিত হয়েছে কি না।

এই সমঝোতার পাশাপাশি দ্বিতীয় অগ্রগতি হলো মিয়ানমার সরকার গতকাল আরাকানে রোহিঙ্গাদের ওপর গত বছরের সহিংসতা তদন্তে একজন বিদেশির নেতৃত্বে অন্তত তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠনের বিষয়েও রাজি হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, শেষোক্ত কমিশন গঠনে মিয়ানমার রাজি হয়েছে মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধকর্তৃক এই বিষয়ে তদন্ত শুরুর উদ্যোগের মুখে।

অন্যদিকে, মিয়ানমারের একটি সূত্র বলছে, জাতিসংঘের দুটি সংস্থার সঙ্গে তাদের দেশের এই সমঝোতায় চীনের সায় ছিল না এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা এটা থামাতে চেষ্টা করেছিল। চীন কোনভাবেই আরাকানে জাতিসংঘ তথা পশ্চিমা প্রভাবিত সংস্থাগুলোর উপস্থিতি চাইছে না।

মিয়ানমারের ‘ইরাবতী’ জানিয়েছে, উপরোক্ত সমঝোতা’র পূর্ববর্তী দুই দিন চীনের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে মিয়ানমারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করেছিল।