একজন নারী তার স্বামীর আয়ের বিস্তারিত জানার অধিকার রাখে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশের উচ্চ আদালত।
বিচারক এসকে শেঠ এবং নন্দিতা দুবের উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ এই অভিমত প্রকাশ করেন। যখন সুনিতা জেইনের পিটিশনের শুনানি চলছিল। সুনিতা জেইন নামে মধ্য প্রদেশের একজন নারী বিবাহ বিচ্ছেদের পর তার স্বামীর কাছ থেকে উচ্চ মেইনটেইনেন্স দাবি করেন কেননা তার স্বামী রাষ্টায়ত্ত বিএসএনএল (সরকারি টেলিকম কোম্পানি) এর একজন সিনিয়র অফিসার।
আবেদনকারীর আইনজীবী কেসি ঘিলদিয়াল জানান, সুনিতা জেইনের স্বামী পবন কুমার জেইন বিএসএনএল এর একজন সিনিয়র অফিসার এবং তিনি উচ্চ বেতনভুক্ত অথচ তাকে (সুনিতাকে) রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাত্র ৭ হাজার রুপি প্রদান করেন।
ট্রায়াল কোর্টে খারিজ হওয়ার পর সুনিতা তার স্বামীর বেতন স্লিপ বা বেতন বিবরণী দেখতে চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) কাছে পৌঁছানোর পর তারা ২৭ জুলাই ২০০৭ এর মধ্যে বিএসএনএল-র কেন্দ্রীয় পাবলিক ইনফরমেশন কর্মকর্তাকে পবনকুমার জেইনের বেতন বিবরণী পেশ করার জন্য আদেশ দেয় বলে জানিয়েছে ঘিলদিয়াল।
যাইহোক, হাইকোর্টের একক বেঞ্চের সামনে সিআইসি-র এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে সুনিতার স্বামী যা ২০১৫ সালের মার্চে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এই আদেশ বাতিল করে দেয়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, সুনিতা জেইন তারপর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের শরণাপন্ন হন যা পর্যবেক্ষণ করে যে, একজন স্ত্রী তার স্বামীর পারিশ্রমিক বা বেতন সম্পর্কে জানার অধিকার সংরক্ষণ করেন।
এসকে শেঠ ও নন্দিতা দুবে-র হাইকোর্ট বেঞ্চ বিবৃতি দিয়েছে যে, স্ত্রীকে তৃতীয় পক্ষ বিবেচনা করে এই তথ্য অস্বীকার করা যাবে না।
আদালতের একক বেঞ্চ-এর স্থগিত করা এই আদেশ গত ১৫ মে ২০১৮ আদালতটির ওই দ্বৈত বেঞ্চ অনুমোদন এবং সিআইসি-র আদেশকে সমর্থন করে।