আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক ভারত সফর ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ২০০৯ সালে এই ভবন নির্মাণ করার মনস্থির করি। বাংলাদেশ ভবন রক্ষণাবেক্ষণে ১০ কোটি স্থায়ী তহবিল আমরা গঠন করব। এই তহবিল থেকে অর্জিত লভ্যাংশ থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের ১০ শিক্ষার্থীকে এমফিল ও পিএইচডি অর্জনের জন্য ফেলোশিপ দেয়া হবে।
‘মাদক বিরোধী অভিযান’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মাদক সমাজে একটি ব্যাধির মতো, এই পর্যন্ত দশ হাজারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছে, মাদক বিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছে এমন একটি ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ অভিযোগ উঠেছে যে, কোন অভিযোগ নেই এমন ব্যক্তিও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হচ্ছে। আবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবং সরকারের সমস্ত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কমিশনসহ দেশের বুদ্ধিজীবী মহল।
প্রধানমন্ত্রী এ সম্পর্কে আরও বলেন, দীর্ঘদিনের নজরদারির পর আমরা অভিযানে গেছি। যেই গডফাদার হোক, অভিযানের আওতায় আসবে। কে কার ভাই কার কী আমি দেখি না। আমি যখন ধরি, ভালো করেই ধরি- আপনারা জানেন। তাই কেউ ছাড় পাবে না।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রী লাভ করার প্রেক্ষিতে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। সঠিক হবে এখনই এই প্রক্রিয়া শুরু করা। যেহেতু এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার পুরস্কার পাওয়ার কোন প্রবৃত্তি নেই। তাছাড়া লবিস্ট নিয়োগ করার আর্থিক সামর্থ্যও আমার নেই।” এথেকে মনে হচ্ছে যে, নোবেল পুরস্কার যেন অর্থের বিনিময়েই পাওয়া যায়!
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫মে দুই দিনের কলকাতা সফরে যান। সে সময় তিনি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তি নিকেতনে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নব নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেন। এছাড়া শান্তি নিকেতনে এই দুই নেতা একটি বৈঠক করেন।