ফুটবল বিশ্বকাপের সময় যত ঘনিয়ে আসছে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে ফুটবল ভক্তরা তত উদ্বিগ্ন হচ্ছে। কারণ বিশ্বকাপে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়! কয়েক মাস আগে জঙ্গি সংগঠন আইএস মেসি-রোনালদোদের রক্তাক্ত ছবিসহ রাশিয়া বিশ্বকাপ বানচালের হুমকি দিয়েছে। এ নিয়ে বহু আন্তর্জাতিক মিডিয়া নানান আলোচনা পর্যালোচনা করেছে।
তবে রাশিয়া বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে সে দেশের আঞ্চলিক ক্রীড়ামন্ত্রী লিয়াডমিলা চেরনোভাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- ‘বিশ্বকাপে প্রতিটি স্টেডিয়াম খেলোয়াড় এবং দর্শকদের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। আমরা আশাবাদী এবার বিশ্বকাপে সকল সমর্থক এবং প্লেয়াররা রাশিয়াতে নিরাপদ পরিবেশে চমৎকার একটি টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবে।’
আইএস হামলা ও নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন– ‘আমরা জঙ্গিবাদের বিপক্ষে বরাবরই কঠোর ছিলাম এবং রাশিয়া সন্ত্রাসবাদ মুক্ত দেশ। এখানে বিশ্বকাপ আয়োজন পুরোপুরি নিরাপদ।’
তার বক্তব্যের সাথে সহমত জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ‘আমাদেরকে ফুটবলার সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে রাশান সরকার’, জানালেন ফিফা বস। এ প্রসঙ্গে ইনফান্তিনো আরো জানান, ‘তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে আমরা সন্তুষ্ট। মনে হয় না এখানে বিশ্বকাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ আছে’। ২০১৬ ইউরোতে রাশিয়ান সমর্থক ও ইংলিশ হুলিগানদের মাঝে উত্তেজনার দরুন সংঘাত হয়েছিল। এবার বিশ্বকাপে এর কোনো প্রভাব পরবে কি না জানতে চাইলে ফিফা সভাপতি বলেন, ‘আমরা কোন রণক্ষেত্রে যাচ্ছি না, যাচ্ছি ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন করতে। সেখানে যদি কেউ এরূপ ঘটনা ঘটাতে চায় তাহলে উল্টো তিনিই সমস্যায় পড়বেন।
এবার বিশ্বকাপে সকল ফুটবলার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত একদল পুলিশ নিয়োজিত থাকবেন। বিশ্বকাপে নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ, পুলিশসহ কমান্ডো ট্রেনিংপ্রাপ্ত আর্মি নিয়োজিত থাকবে। প্রত্যেক স্টেডিয়ামে মেটাল ডিটেক্টর এবং এয়ারপোর্টে ব্যবহৃত স্ক্যানিং মেশিন ব্যবহার করা হবে সমর্থকদের হ্যান্ড ব্যাগ চেক করার জন্য। সাথে স্টেডিয়ামের বাইরে ম্যাচ চলাকালীন এক্সট্রা পুলিশ এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। একই সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ড্রোনের সাহায্যে স্টেডিয়াম এলাকায় নজরদারির কথাও জানিয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজনকারী প্রতিনিধি দলটি।