দু’ দলের যাদের দিকে নজর থাকবে সবার

দু’ দলের যাদের দিকে নজর থাকবে সবার

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। তারপরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ পেতে যাচ্ছে ইউরোপের নতুন রাজাকে। মুখোমুখি ক্লাব ফুটবলের দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ এবং লিভারপুল। ফাইনালকে সামনে রেখে পরিসংখ্যান, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ইতোমধ্যেই গবেষণা চলছে জোর কদমে। এক নজরে দেখে নেয়া যাক প্রত্যেকটি বিভাগে দু দলের সেরা খেলোয়াড়দের।
গোলরক্ষক 
রিয়ালের হয়ে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলবার সামলেছেন কেইলর নাভাস এবং কিকো ক্যাসিয়া। দশ ম্যাচে নাভাস ৪৩টি শ্যুটের মধ্যে রক্ষা করেছেন ৩২টি, ৭২.০৯ শতাংশ ইফেক্টিভনেসে। অপরদিকে লিভারপুলের হয়ে প্রত্যেকটি ম্যাচেই মাঠে ছিলেন কারিওস। তিনি সেভ করেছেন ২৫টি শ্যুট, ৩৫টির মধ্যে। ৬৫.৭৯ শতাংশ ইফেক্টিভনেসে।
একটি জায়গায় কারিওস নাভাসের চেয়ে বেশ এগিয়ে। কারিওস বারো ম্যাচের ছয়টিতেই ক্লিন শিট রেখেছেন তিনি। বিপরীতে নাভাস-ক্যাসিয়ার যৌথ ক্লিন শিটের সংখ্যাই তিনটি।
রক্ষণভাগ
লিভারপুল ইতোমধ্যে নয়জনের বেশি ডিফেন্ডার ব্যবহার করেছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন ট্রেন্ট আলেক্সজান্দার-আর্নোল্ড এবং ডিজন লভেরন। আলেক্সজান্দার-আর্নোল্ড মোট ৬২ বার বল রিকভার করেছেন এবং লভেরন অসংখ্য ব্লকের মাধ্যমে দলকে রক্ষা করেছেন নিশ্চিত গোল হজম থেকে।
ডিসিপ্লিনারি সেকশনেও লিভারপুলের নৈপুণ্য নজরকারার মত। এ আসরে লিভারপুল লাল-কার্ড দেখেছে মাত্র একটি; জোসেফ গোমেজ। হলুদ কার্ড আটটি।
অপরদিকে রিয়ালের নেতৃত্বে নিশ্চিতভাবেই ছিলেন রামোস।
দ্য গ্লাডিয়েটর মোট ৮০ টি রিকভারি করেছেন চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এরপরেই ৫৮ টি নিয়ে রয়েছেন মার্সেলো। সার্বাধিক ক্লিয়ারেন্স এর রেকর্ড ভারানের।
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের কোনো রক্ষণ তারকা লাল কার্ড দেখেননি। সর্বোচ্চ সংখ্যক হলুদ কার্ড খেয়েছেন কার্ভাহাল, চারটি।
মধ্যমাঠ
ডিফেন্সিভ মিডে দু দলের ভরসা থাকবে কাসেমিরো এবং হেন্ডারসনের ওপর। কাসেমিরো এই মৌসুমে ৭৮ টি এবং হেন্ডারসন ৬৬ টি বল রিকভার করেছেন।
আর খেলা গড়ার জন্য দু দল তাকিয়ে থাকবে টনি ক্রুস এবং এমরে চেন এর দিকে। ক্রুসের সফল পাসের হার ৯৩.৭২; অপর দিকে এমরে চেনের ৮৫.৬৪।
এছাড়াও রিয়ালের মধ্যমাঠ কাপাতে রয়েছেন মদ্রিচ, লুকাস এবং ইস্কো যারা একই ম্যাচে একাধিক অ্যাসিস্ট করেছেন। সেখানে এ কাজে ক্লপের ভরসা শুধুই উইজনালডাম।
আক্রমণভাগ
মূল খেলাটা জমবে এখানেই। দু দল মিলে পুরো প্রতিযোগিতায় করেছে মোট ৭০ গোল। এবং আসরের সর্বোচ্চ দুই গোলদাতাও এই দু দলেরই।
রিয়ালের ৩০ গোলের অর্ধের, ১৫ টি গোলই এসেছে রোনালদোর পা থেকে। অপর দিকে লিভারপুলে বিষয়টা অনেকটা দলগত। সালাহ এবং ফিরমিনহো, উভয়েই করেছেন দশটি করে গোল। মানের গোল সংখ্যা নয়টি।
পরিসংখ্যান, অতীত, ইতিহাস সবই গৌণ হয়ে যাবে রেফারির বাঁশি বাজার সাথে সাথে। তখন হিসাব হবে শুধুই নব্বই মিনিটের। আর এ নব্বই মিনিটটি যারা নিজেদের করে নিতে পারবে কিয়েভের রাতটি হবে তাদেরই।