বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখে না এমন ফুটবলার কোথাও নেই। বিশ্বকাপ মানেই উত্তেজনা, সঙ্গে ভয়। আস্থার প্রতিদান দিতে পারবে তো নাকি চাপে ন্যুব্জ হবে? পোঁড় খাওয়াদের সয়ে যায়, নতুনদের ভয় রয়ে যায়। তবে, প্রতিবারই কয়েকজন তরুণ আসেন, যারা পরিচিত এমন পরিস্থিতির সাথে! যুব বিশ্বকাপ খেলে বরং নিজেদের ঝালিয়ে নেন তারা। যুব বিশ্বকাপ জাতীয় দলের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিশাল বড় প্ল্যাটফর্ম। এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে তেমন কয়েকজন আছেন যারা অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের চিনিয়েছেন। তাদের নিয়েই জবানের ছোট্ট এই আয়োজন…
• গ্যাব্রিয়েল হেসুস (ব্রাজিল)
এবারের বিশ্বকাপে ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল। নেইমারের পাশাপাশি আলোচনার টেবিলে ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছেন আরেক ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল হেসুস। বয়স সবে ২১ ছুঁলো। কিন্তু তিতের অন্যতম ভরসা হিসেবে অল্পসময়েই নিজের দিকে আলো টেনেছেন সেলেসাওদের নাম্বার নাইন। ২০১৫ সালে যুব বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ফাইনালে তুলে নজর কাড়েন ব্রাজিলিয়ান কাপ পালমেইরাস থেকে উঠে আসা তরুণ। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে ব্রাজিলের সদস্য হেসুস বাছাই পর্বে দশ ম্যাচে করেছেন ছয় গোল। চলতি সিজনে ম্যানচেস্টার সিটির রেকর্ডগড়া লিগ শিরোপা জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ব্রাজিলের হলুদ জার্সিতে ১৫ ম্যাচে ৯ গোল করা গ্যাব্রিয়েল ফার্নান্দো হেসুস।
• আন্দ্রে সিলভা (পর্তুগাল)
২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ৪ গোল, ২ অ্যাসিস্টে নজরে আসেন সবার। ২০১৬ ইউরোর পর দলে অভিষিক্ত ২২ বয়সী সিলভার জাতীয় দলে অবদান ২০ ম্যাচে ১১ গোল। গেল মৌসুমে পাড়ি জমান এসি মিলানে। এসব কিছুই নয়, কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তাকে দলে রাখছেন বাছাইপর্বের অনবদ্য পারফরমেন্স এর সুবাদে। ১০ খেলায় ৯ গোল করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া আন্দ্রে সিলভার কাছ থেকে বিশ্বকাপেও ভালোকিছুর আশা করছে পর্তুগিজরা।
• রদ্রিগো বেনটাঞ্চার (উরুগুয়ে)
২০ বছর বয়সী তরুণ বেনটাঞ্চার গতবছর অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে ছিলেন উরুগুয়ের অন্যতম ভরসার নাম। জুভেন্তাসে খেলা এ মিডফিল্ডারের মধ্যে রয়েছে সম্ভাবনাময় আগামী। তার আগে বর্তমান। কদিন পরই বিশ্বকাপ। বেনটাঞ্চার এর মধ্যে নিজেকে তৈরি করে নিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা অল্পসময়েই উরুগুয়ে জাতীয় দলে নিজের জন্য একটা জায়গা বের করতে পেরেছেন। পরপর দুইবছর দুইটি বড় বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া রদ্রিগো বেনটাঞ্চারকে সৌভাগ্যবান বলা যায়, তবে নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের সুবাস পেতে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে তাকে।
• এডসন আলভারেজ (মেক্সিকো)
এডসন ওমর আলভারেজ ভেলাজকুয়েজ। সেন্টার ব্যাক, প্রয়োজনে রাইটব্যাক, আবার মিডফিল্ডারও। মেক্সিকোর এই প্রতিভাবান তরুণ উঠে এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় হওয়া গত বছরের যুব বিশ্বকাপ দিয়ে। বেশ ভালো খেলেছেন আসরে, একবছরের মাথায় বড়দের সঙ্গে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া সে সাক্ষ্যই দেয়। জাতীয় দলে ৯ ম্যাচ খেলেছেন এরই মধ্যে, খেলেছেন কনকাকাফ গোল্ডকাপ ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচে। কোচ ওসোরিও তাই ভরসা রাখছেন এই যুবার উপর, দেখা যাক সুযোগ কাজে লাগিয়ে আলভারেজ কতটা এগিয়ে যেতে পারে।