ঐতিহ্যবাহী মুসলিম ক্যালিগ্রাফির ইতিকথা

ঐতিহ্যবাহী মুসলিম ক্যালিগ্রাফির ইতিকথা

চীনে সর্বপ্রথম ক্যালিগ্রাফি চর্চা শুরু হয়। ইতিহাসবেত্তাদের মতে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে সর্বপ্রথম ক্যালিগ্রাফির যাত্রা শুরু। বাঁশ দিয়ে তৈরি তুলি, কালো কালি আর প্যাপিরাস পেপার দিয়ে তখনকার শিল্পীরা এই আঁকাআঁকির কাজ শুরু করেন। তবে ক্যালিগ্রাফি নামটি গ্রিক শব্দ ক্যালিগ্রাফিয়া থেকে এসেছে যার ক্যালি অর্থ সুন্দর আর গ্রাফিয়া অর্থ লেখা। প্রাচীনকালের সুবিখ্যাত চীনা ক্যালিগ্রাফি শিল্পীর মধ্যে ওয়াং শি জি, ওয়াং শিয়েন জি, জাং সুই এবং ইয়েন জেন ছিং এর নাম এখনও জানা যায়। তাদের ক্যালিগ্রাফি অনুশীলন সংক্রান্ত অনেক গল্পও এখন পর্যন্ত প্রচলিত আছে যেমন–

ওয়াং শিয়েন জি ছিলেন ওয়াং শি জি’র সন্তান। তিনি যখন মাত্র সাত বছর ছিল তখন তার বাবা ওয়া শি জি’র কাছ থেকে ক্যালিগ্রাফি শিখতে শুরু করেছে। ক্যালিগ্রাফি চর্চায় তার বাবাকে ছাড়িয়ে যাবার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু তার মা তাকে বলেছে, ভাল ক্যালিগ্রাফার হতে চাইলে অনেক কঠিন চর্চা দরকার। এরপর ওয়া শিয়েন জি পাঁচ বছর ধরে ক্যালিগ্রাফি সাধনা শুরু করেন। একদিন তিনি তার লেখা 大 অক্ষরটি গর্বের সঙ্গে তার বাবাকে দেখান। তার বাবা ছেলের লেখা দেখে কোন কথা না বলে শুধু তার লেখার নিচে এক ফোটা চিহ্ন যোগ দেন। তারপর ওয়াং শিয়েন জি তার মাকে লেখাটি দেখান। তারপর গর্বের সঙ্গে তার মাকে বলেন, ‘মা, আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত ক্যালিগ্রাফি চর্চা করেছি। দেখো তো, আমার লেখা কি বাবার মতো কিছু হয়েছে?’ তার মা অক্ষরটি দেখার পর বলেন, ‘তোমার লেখার এ ফোটাটি দেখতে তোমার বাবার মতো’। মায়ের কথা শুনে ওয়াং শিয়ে জি খুব লজ্জা পান এবং তখন থেকে ক্যালিগ্রাফি শেখার জন্য ওয়াং শিয়েন জি আরো কঠোর পরিশ্রম করা শুরু করেন। তার কঠোর সাধনার মাধ্যমে আস্তে আস্তে তার সুনাম সত্যিই তার বাবাকে ছাড়িয়ে যায়।

এই গল্প থেকে জানা যায়, শুরু থেকেই ক্যালিগ্রাফি একটি গুরু নির্ভর অনুশীলন ছিল। অর্থাৎ ক্যালিওগ্রাফি শিখতে ইচ্ছুক কোন ছাত্র দীর্ঘকাল কোন গুরুর কাছে প্রশিক্ষণ নিতেন, গুরু যখন তার আঁকাআঁকিতে সন্তুষ্ট হতেন তখন তাকে স্বাধীনভাবে আঁকাআঁকির অনুমতি প্রদান করতেন। কখনো কখনো পিতাই পুত্রের গুরু হতেন।

মুসলিম ক্যালিগ্রাফি মূলত আরবি লিপিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ইতিহাসবিদদের তথ্য মতে, মুসলমানদের আগমনের পুর্বে থেকেই আরবে ক্যালিওগ্রাফির চর্চা ছিল। মুসলিমপুর্ব মক্কা নগরীতে আরবি লিপির প্রথম প্রচলন করেন বিশর ইবনে আবদুল মালিক আল কিন্দি। তিনি উত্তর আরবের হিরা এবং আনবার অঞ্চলের অধিবাসীদের কাছ থেকে নাবাতিয়ান লিপি লেখার শৈল্পিক জ্ঞান অর্জন করেন। তখনকার ইহুদি এবং খৃস্টানরাও তাদের বইপত্রে হিব্রু এবং সিরিয়াক লিপির পাশাপাশি আরবি লিপির ব্যবহার করত।

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন নিজেই একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্যালিগ্রাফি। স্থান-কাল-সময়ভেদে কুরআন বিভিন্ন লিপিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। কুরআনের প্রতিটি পাতায় সুন্দর সুন্দর নকশা প্রদান করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে একজন মুসলমানের কাছে ক্যালিগ্রাফির সবচেয়ে বড় উপাদান হচ্ছে কুরআনের লিখিত রূপ। এছাড়া কুরআনের বাণীর আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য একজন ক্যালিওগ্রাফারকে প্রচণ্ডভাবে আকর্ষণ করে। আল্লাহ তায়ালা নিজেকে একজন মহান শিল্পী হিসাবে ঘোষণা করেছেন। তাই সাধারণত একজন মুসলিম ক্যালিগ্রাফার নিজেকে সেই মহান প্রতিপালকের যথার্থ প্রতিনিধি মনে করেন।

ক্যালিগ্রাফি: কানাডিয়ান শিল্পী সালমা নাজম

শুরুর দিকে কুরআনের লিপি আজকের দিনের মত এত সুন্দর ও পরিপাটি ছিল না। ক্যালিগ্রাফি যেমন প্রতিনিয়ত তার অতীত সৌন্দর্যকে ছাড়িয়ে যায় ঠিক তেমনি টেক্সট ঠিক রেখে কুরআনের সজ্জাগত অনেক পরিবর্তনও সাধিত হয়েছে। প্রথমদিকে কুরআনে যতিচিহ্ন ও হরকত ছিল না, এতে আরবদের কুরআন পাঠে সমস্যা না হলেও অনারবদের মধ্যে জটিলতা তৈরি করতে থাকে। বিশেষ করে অনারব বিশ্বে দ্রুত মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আরবি লিপির ভেতর এসব জটিলতা দূর করা এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা জরুরী হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধান করেন আবুল আসওয়াদ আল দোয়াইলী (মৃত্যু-৬৮৮ই.)। তিনি যতিচিহ্ন, হরকতসহ বিভিন্ন নান্দনিক সংস্করণ করেন। এরপর আল খলিল ইবনে আহমদ আল ফারাহিদী (মৃত্যু-৭৮৬ই.) আবুল আসওয়াদ আল দোয়াইলীর পদ্ধতির পুনঃসংস্কার করেন।

রাসুল (সা.) এর যুগ থেকেই ক্যালিগ্রাফারগণ প্রাণান্তকর পরিশ্রম করেছেন ক্যালিগ্রাফির উন্নয়ন সাধন করার জন্য। তখন সাহাবাগণ পাথর, গাছের ছাল, পাতা ইত্যাদিতে কুরআনের আয়াত লিখে রাখতেন, যা মুসলমানদের ক্যালিগ্রাফির প্রাথমিকরূপ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পরবর্তীকালে মুসলমানরা উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমী, সেলজুক, ইলখানী, তিমুরিদ, সুলতানী, মোগল প্রভৃতি রাজ্য শাসনামলে ক্যালিগ্রাফিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজকীয় সহযোগিতা প্রদান করে। ফলশ্রুতিতে মুসলমানদের ক্যালিগ্রাফি অত্যন্ত নান্দনিকরূপ লাভ করে এবং বিশ্বব্যাপি পরিচিত হয়ে ওঠে।

মুসলিম ক্যালিগ্রাফির প্রাথমিক লিপিসমূহের মধ্যে অন্যতম প্রধান লিপি হচ্ছে কুফী লিপি। এ লিপির মাধ্যমে দীর্ঘ তিনশ বছর মুসলিম বিশ্বে কোরআনের কপি চালু ছিল। এ লিপিটি মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে আঞ্চলিক প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন ধারা তৈরি করেছে। কোথাও মাগরিবী, কোথাও আন্দালুসী, আবার কোথাও বিহারী লিপিতে রূপান্তরিত হয়েছে। উমাইয়া শাসন আমল আরবি লিপির জন্য গুরুত্বপুর্ণ সময় ছিল। কুফী লিপিতে ক্যালিগ্রাফি করা এ সময় অনেক ক্যালিগ্রাফারের পেশায় পরিণত হয়। পেশাদারিত্ব ব্যতীত কোন শিল্প টিকে থাকতে পারে না। তাই এ সময়টি ছিল মুসলিম ক্যালিগ্রাফির মাইলফলক।

পাশাপাশি উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান একটি নতুন লিপির আবিষ্কার করেন। তিনি এর নাম দেন মানসুব লিপি। উমাইয়াদের একটি অবিস্মরণীয় অবদান হচ্ছে, জেরুসালেম বা বর্তমান ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদের পাশে কুববাতুস সাখরা বা ডোম অব দ্য রক নামে বিখ্যাত মসজিদ নির্মাণ এবং তাতে ক্যালিগ্রাফির যুগান্তকারী প্রয়োগ। পাঠকদের বলে রাখা ভাল, আমরা অনেকেই আল আকসা মসজিদ এবং ওমর মসজিদের সাথে কুববাতুস সাখরা বা ডোম অব দ্য রককে মিলিয়ে ফেলি। বস্তুত এগুলি আলাদা আলাদা স্থাপত্য।

বাইতুল মোকাদ্দাসের মসজিদের দেয়ালে রয়েছে মনোমুগ্ধকর ক্যালিগ্রাফির কাজ

এরপর আব্বাসীয় আমলে আরবি লিপি সৌন্দর্যমন্ডিত ও উন্নয়ন একই সাথে হতে থাকে। পর পর তিনজন খলিফার উজির আবু আলী ইবনে মুকলাহ (মৃত্যু: ৯৪০খ্রিস্টাব্দ) প্রথম আরবি লিপির আনুপাতিক লেখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি কোন ধরণের জ্যামিতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার না করেই এটা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। তাকে আরবি ক্যালিগ্রাফির জনক বলা হয়। তার ‘খত আল মনসুর’ আরবি লিপির উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে। তিনি ইবনে মুকলাহ নাশখ (কপি করা) এবং সুলুস (এক তৃতীয়াংশ) লিপির আধুনিক আকার-আকৃতি রূপায়ন করেন। তিনি গোলায়িত টানা হাতের পেঁচানো কুফি লিপির উদ্ভাবন করেন এবং তার উত্তরসূরি ইরাকী কুরআন বিশেষেজ্ঞ ক্যালিগ্রাফার আলী বিন হিলাল ইবনে আল বাওয়াব এ লিপির উন্নয়ন করেন।

আরবি লিপির প্রধান ধারাসমূহ থেকে কিছু অপ্রধান ধারা আত্মপ্রকাশ করে। আব্বাসীয় খলিফা ও কাজীগণ তাদের দলিল দস্তাবেজে এবং সরকারি কাগজপত্রে তাওকী লিপির ব্যবহার করেন। এটাকে প্রধান ধারার ইযাযা লিপি বা অনুমদিত লিপি হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।

ক্যালিগ্রাফির ব্যাপক এবং শৈল্পিক প্রয়োগে চমৎকারিত্ব দেখান ফাতেমী খলিফাগণ। প্রাসাদ, মসজিদ, ও সিংহাসন সর্বত্র অঙ্গসজ্জা ও অলংকরণের কাজে ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার শিল্পকর্ম হিসেবে গৃহীত হয়। ক্যালিগ্রাফিকে পেশা হিসেবে গ্রহণের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় এবং ক্যালিগ্রাফির বিভিন্ন ধারার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সব রকম সুযোগ-সুবিধা সহজলভ্য হয়।

ওসমানী সুলতানগণ এবং কাজীগণ তাদের ব্যবহারের জন্য ভিন্ন আরেকটি লিপি ব্যবহার করেন। এটি দিওয়ানী লিপি হিসাবে অধিক পরিচিত। এটি গোলায়িত লিপির একটি প্রকরণ। এ লিপিতে কলম কম উঠানো যায় এবং অত্যন্ত দ্রুত লেখা যায়।

ওসমানীয়দের মিসর শাসনের প্রেক্ষাপটে তুর্কিরা নাশখ লিপিতে অসাধারণ শৈল্পিক সুষমা আনয়ন করতে সক্ষম হন। কারণ তুর্কিরা আগে থেকে গ্রীক ও উর্দু হরফের হাতে লেখার সুক্ষ্ম সৌন্দর্য সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল। ১৬ শতকের মধ্যভাগে হাফিজ ওসমান ও আহমদ কারাহিশারি নাশখ লিপিকে সৌন্দর্যের চূড়ান্ত মানে উন্নীত করেন। তুর্কিদের হাত ধরে আরবি ক্যালিগ্রাফি মধ্য এশিয়া, রাশিয়া, আফগানস্তিান এবং মোগলদের হাত ধরে ভারত উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

মিসরে আরবি ক্যালিগ্রাফির উল্লেখযোগ্য ও স্মরণীয় কাজ হচ্ছে পবিত্র কাবার গিলাফে স্বর্ণতন্তুতে কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি। খেদিভ ইসমাইলের আমন্ত্রণে বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার ও নকশা শিল্পী আবদুল্লাহ বেক জুহদী মিসরে আগমন করেন। তিনি কাবার গিলাফ (কিসওয়াহ) বিশেষভাবে নকশা এবং সুলুস লিপিতে ক্যালিগ্রাফি করেন। মিসরে ক্যালিগ্রাফি রেনেসাঁর অগ্রনায়ক হিসেবে তাকে অভিহিত করা হয়। বাদশাহ ফাওয়াদের সময়ে ক্যালিগ্রাফিকে শিল্পকর্ম হিসেবে প্রদর্শনী করা হয়। বিখ্যাত তুর্কি ক্যালিগ্রাফার মুহাম্মদ আবদুল আজিজ মিসরে অবস্থান করে আরবি ক্যালিগ্রাফির একটি ধারা প্রতিষ্ঠা করেন এবং হরফকে স্বর্ণমন্ডিত করার কৌশল প্রচলন করেন।

সেলজুক, মামলুক, বাংলার স্বাধীন সুলতানগণ এবং ওসমানীয় সুলতানগণ একটি স্বতন্ত্র ধারা চালু করেন। তা ওসমানীয় তুঘরা থেকে ভিন্ন। তবে ওসমানীয় তুঘরাই প্রথম পশ্চিমা গবেষকদের নজরে আসে। যদিও মামলুক ও বাংলার তুঘরাই অধিক প্রাচীন।

হিলাইয়া একটি ভিন্ন মাত্রার পদ্ধতি। এতে ক্যালিগ্রাফার তার চিন্তাধারাকে স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। হাফিজ উসমান সর্বপ্রথম ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে বিমূর্ত ছবির চিন্তা করেন। তার এ চিন্তাধারা পরবর্তীতে হিলাইয়া নামে পরিচিতি পায়।

মুসলমানদের আগমনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ক্যালিগ্রাফির আগমন ঘটে। ৭১০ খৃষ্টাব্দে সিন্ধু বিজয়ের মধ্য দিয়ে ক্যালিগ্রাফি রাজকীয় সহায়তা লাভ করে। তবে দিল্লী সালতানাত প্রতিষ্ঠার (১১৯২ খৃষ্টাব্দ) পর এই উপমহাদেশে ক্যালিওগ্রাফির ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপিত হয়। এরপর মুঘল আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই উপমহাদেশে ক্যালিওগ্রাফির চর্চা অব্যহত আছে।

ঢাকায় বায়তুল মোকারমে প্রদর্শনীতে ক্যালিগ্রাফি চিত্র দেখছেন এক বয়োজ্যেষ্ঠ দর্শক। ছবি : মঞ্জুর মোর্শেদ

মুসলিম ক্যালিগ্রাফাররা ঐতিহ্যগত ধারার সাথে সম্পৃক্ত করেছেন বিমূর্ত ধারাকে। আধুনিক ধারার ক্যালিগ্রাফারগণ বিমূর্ত ধারায় ক্যালিগ্রাফি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন ও শিল্পমানে উত্তীর্ণ এসব ক্যালিগ্রাফি সমকালীন ধারার একটি প্রধান অংশ। মুসলমানদের দৈনন্দিন ব্যবহারিক জীবন, স্থাপত্যকলা, সাজ-সজ্জা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্যালিগ্রাফির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কয়টি ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বেশ কয়েকজন ক্যালিগ্রাফার রয়েছেন, তবে সে সংখ্যা নিতান্তই কম। এছাড়া ক্যালিগ্রাফির বহুমুখী ব্যবহারও বাংলাদেশে কম লক্ষণীয়।

 

সহায়ক সূত্র

১. ইসলামী ক্যালিগ্রাফি, মোহাম্মদ আবদুর রহীম, প্রথম প্রকাশ ২০০২

২. চীনা সংস্কৃতি: চীনা ভাষার ক্যালিওগ্রাফি 中(zhōng)国(guó)书(shū)法(fǎ)

৩. A Brief History of Calligraphy by JOHANIE COOLS

৪. History – The Kufic Script

৫. Ibn Muqla – Master Calligrapher