রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বাংলাদেশে এসেছেন। জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) -এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে এসেছেন তিনি। আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এখান থেকে তিনি ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজে কক্সবাজার পৌঁছান। জানা গেছে, কক্সবাজারে প্রিয়াঙ্কা উখিয়াস্থ রয়েল টিউলিপ হোটেলে অবস্থান করছেন। তিনি বাংলাদেশে চারদিন থাকবেন। দুপুরে তিনি এক টুইট বার্তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা নিশ্চিত করেন।

প্রিয়াঙ্কার সফরসূচি থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে তিনি উখিয়ার বালুখালী ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এরপর বিকেলে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি। বুধবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন এই বলিউড তারকা।

আজ বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ সড়কপথে কক্সবাজার থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবিরে যান। এ সময় তার সাথে ইউনিসেফ ও স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসছেন এ কথা আগেই রোহিঙ্গা শিবিরে পৌছালে, হিন্দি সিনেমার প্রিয় নায়িকাকে দেখতে ভিড় করে শরণার্থীরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি ফেসবুকে জানান, ‘আমি বাংলাদেশের কক্সবাজার আছি। ইউনিসেফের পরিদর্শন কর্মসূচিতে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করছি। ২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্থে বিশ্ব দেখেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এথনিক ক্লিনজিংয়ের ভয়াবহ চিত্র। এ সময় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে যার মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু’। এই লেখায় তিনি শরণার্থীদের দুর্ভোগের চিত্রও তুলে ধরেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তাকে ইউনিসেফ পরিচালিত একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি রোগীদের সাথে কথা বলেন। তিনি শিশুদের ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ সম্পর্কে জানতে চান।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ১৯ মে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আমন্ত্রণে প্রিন্স হ্যারি আর বান্ধবী মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ঢাকায় এসেছেন। এর আগে সুইস প্রেসিডেন্ট, তুরস্কের ফার্স্টলেডি, ডেনামার্কের রাষ্ট্রদূত, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ হাইকমিশন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।