বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোতে বসবাসরত তুরস্কের নাগরিকদের একটি নির্বাচনী র্যালি ও জনসভায় যোগ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান। আজকের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। কেননা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো তাদের দেশে বসবাসরত তুরস্কের নাগরিকদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বসনিয়ার গণমাধ্যমেগুলো বলছে, প্রায় ১৫ হাজার মানুষ সারায়েভোর বৃহত্তম স্টেডিয়াম জেত্রায় আয়োজিত এ সমাবেশে যোগ দেন।
আগামী ২৪ জুন তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তুরস্কের প্রায় ৩০ লাখ ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র জার্মানীতে রয়েছে ১৪ লাখ তুর্কি ভোটার।
অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডস গত মাসে জানিয়েছে যে, তারা তুরস্কে আসন্ন জুনের নির্বাচনের জন্য তাদের দেশে তুরস্কের কোন রাজনীতিবিদকে প্রচারণার অনুমতি প্রদান করবে না।
তবে সারায়েভো ও আঙ্কারার মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। ১৯৯০ সালে যুগোস্লাভিয়া বিভক্তির যুদ্ধের পর ধ্বংস হওয়া বসনিয়া পুনঃর্নির্মাণে তুরস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বসনিয়ার নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৩৫ লাখ মুসলমান রয়েছে। এছাড়া দেশটিতে প্রচুর সার্বিয়ান ও বলকান নাগরিক রয়েছে।
বসনিয়া ও বলকান অঞ্চলের অধিকাংশই ১৮৭৮ সাল পর্যন্ত; প্রায় চারশত বছর অটোম্যানদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। কিছু সমালোচনাকারীরা মনে করেন এরদোগান নয়া অটোম্যানিজম প্রতিষ্ঠা করতে চান।
প্রসঙ্গত, গত বছর তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্টের দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সুযোগ সৃষ্টির জন্য গণভোটের আয়োজন করা হয়। তখনও দেশটির বাইরে এ ধরনের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ ওই সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।