অ্যাতলেটিকোর তৃতীয় শিরোপায় মার্শেইয়ের তৃতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ

অ্যাতলেটিকোর তৃতীয় শিরোপায় মার্শেইয়ের তৃতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ

অলিম্পিক মার্শেই ০ – ৩ অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ
গ্রিয়েজম্যান ২১, ৪৯
‎গাবি ৮৯

• ইউরোপা লীগে এটি দু’দলের প্রথম দেখা। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দুইবারর মুখোমুখি হয়েছিল তারা।
• শেষ আট বছরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পঞ্চম ইউরোপিয়ান ফাইনাল।
• ‎২০১০, ২০১২ র পর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের তৃতীয় ইউরোপা লীগ জয়।
• ‎মার্শেইয়ের তৃতীয় ইউরোপা লীগ ফাইনাল, তৃতীয় পরাজয়।
• ‎নিষেধাজ্ঞার কারণে এদিন ডাগআউটে ছিলেন না ডিয়াগো সিমিওনে।

অলিম্পিক মার্শেই : স্টভ মান্দানা, জর্দান আমাভি, আদিল রামি, ওকাম্পোস, স্যানসন, দিমিত্রি পায়েত, সার, লুইজ গুস্তাভো, থাউভিন, আঙ্গুইসা, ভেলেইরি জার্মেইন

সাব : পায়েত-লোপেজ, ওকাম্পোস-এন নিজে, জার্মেইন-মিত্রোগোলু

অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ : ইয়ান ওবলাক, গদিন, ভ্রাসালকো, হার্নান্দেস, গিমেনিজ, কোকো, সাউল নিগুয়েজ, অ্যাঞ্জেল কোরেয়া, গ্রিয়েজম্যান, কস্তা

সাব : ভ্রাসালকো-হুয়ানফ্রান, কোরেয়া-থমাস পার্টে, গ্রিয়েজম্যান-তরেস

প্রথমার্ধ
খেলার সবে চতুর্থ মিনিট। মার্শেই ফরোয়ার্ড জার্মেইন অ্যাটলেটিকো কিপার ইয়ান অবলাককে একা পেয়েও বল মারের পোস্টের বাইরে। তার খানিক পরে রামির শট ফিরিয়ে দেন অবলাক। ম্যাচের তখন ২১ মিনিট। মিডফিন্ডার আঙ্গুগুইসাকে পাস দিলেন মার্শেই গোলরক্ষক। তিনি তা রিসিভে ব্যর্থ হলেও বিচক্ষণ গাবি বল দখলে নিতে দেরি করেননি। গ্রিয়েজম্যানকে দেয়া পাস পরিণত হয় গোলে। গোলকিপার মান্দানাকে একা পেয়ে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি এটিএমের এই ফ্রেঞ্চম্যান। পুরো টুর্নামেন্ট অসাধারণ খেলা অলিম্পিক মার্শেই ফাইনালেও খেলছিল দারুণ। তাদের সবচে বড় শক্তি ইউরোপায় এবার সাত অ্যাসিস্ট করা ক্যাপ্টেন দিমিত্রি পায়েত ৩২ মিনিটে ইঞ্জুরড হয়ে মাঠ ছাড়লে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়ে তারা। প্রথমার্ধে তাই দাপট নিয়ে খেললেও গোলের দেখা পায়নি ফরাসি দলটি।

দ্বিতীয়ার্ধ
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে গ্রিয়েজম্যান আবারও ব্যবধান বাড়িয়ে দিলে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা মার্শেইর সামনে বিশাল বাঁধা। ফরাসি রিক্রুট গ্রিজের শপষ গোলেই নিভে যায় আশার প্রদীপ। প্রথম গোলের মতই এখানে সহায়ক গাবি, স্কোরার গ্রিজ্জি!

দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার মিনিট খানেক পর ডিয়েগো গদিন কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান বাড়িয়ে দিলে তখনই শেষ হতে পারত মার্শেইয়ের শেষ সম্ভাবনাও। ৮০ মিনিটে ব্যবধান কমতে পারত। পোস্তকগ্লুর হেড ওবলাককে ফাঁকি দিলেও বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৮৮ মিনিটে অ্যাটলেটিকো অধিনায়ক গাবি নিজেই গোল করলে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপা লীগের ফাইনালে পরাজয়টা নিশ্চিত হয়ে যায় অলিম্পিক মার্শেইয়ের। আর নিশ্চিত হয় আট বছরে রোজি ব্ল্যাংকোসদের তৃতীয় শিরোপা।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : অ্যান্তোনি গ্রিয়েজম্যান