ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকায় এরদোগান

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকায় এরদোগান

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় তুরস্ক একমাত্র সরব অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ফিলিস্তিনিদের স্বদেশ রক্ষার আন্দোলনের পক্ষে তার সমর্থন পূনর্ব্যাক্ত করেছেন। গাজায় গণহত্যা ও জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে তুরস্কে নিযুক্ত থাকা ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে সাময়িক বহিস্কার করেছে আঙ্কারা। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এরদোগান এক টুইটে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এবং ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী নয়। এটি একটি প্রতিরোধ আন্দোলন। এটি দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের স্বদেশ রক্ষার আন্দোলন’।

গত সোমবার লন্ডনে তুর্কি ছাত্রদের এক অনুষ্ঠানে তিনি ইসরায়েলকে প্রতিহিংসাপরায়ণ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দেন এবং গাজায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর মারাত্মক শক্তিপ্রয়োগের বিরোধিতা করে জেরুজালেমে অবস্থানকারী ট্রাম্প কন্যা ও জামাতার তীব্র সমালোচনা করেন।
২০১৪ সালের পর গাজায় সোমবারের ওই রক্তক্ষয়ী ঘটনাকে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তুরস্কে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি পরিস্থিতি জানতে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ছাড়াও তেল আবিব ও ওয়াশিংটন থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক। আগামী ১৮ মে শুক্রবার মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির একটি জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছেন এরদোগান। ১৪ মে কেবিনেট মিটিং শেষে এ কথা নিশ্চিত করেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী বাকির বোজদাগ। ওআইসি সম্মেলন সফল করতে এরদোগান ব্যক্তিগত ভাবেও জর্ডান, মালয়েশিয়া, সৌদিআরব ও কুয়েতের রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের জবাবে ইসরায়েলও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। টুইটারে দু’জনই একে অন্যের টুইটের জবাব দিচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিবাদ স্বরূপ আগামী ১৮ ও ২০ মে যথাক্রমে ইস্তাম্বুল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের আনাতোলিয়ান প্রদেশে দু’টি বৃহৎ র‌্যালি ও সমাবেশের আহ্বান করেছে তুরস্ক।

উল্লেখ্য, সোমবার পবিত্র জেরুজালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালুকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ দমনে ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়। এতে নিহত হন অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং আহত হয় ২ শতাধিক। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূখ- থেকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই দিনকে স্মরণ করে প্রতিবছর নকবা দিবস পালন করে ফিলিস্তিনিরা।