ফিলিস্তিনের গাজায় ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেল আবিব থেকে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর সম্পন্ন করেছে।
গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে তেল আবিবে স্থাপিত মার্কিন অ্যাম্ব্যাসি জেরুজালেমে সরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের এমন বিতর্কিত ঘোষণা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এমনকি জাতিসংঘের সাধারণ অ্যাসেম্বলিতে এ ঘোষণার বিপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ে।
অধিকাংশ দেশের দাবি মতে, জেরুজালেম ইহুদি থেকে খ্রিস্টান এবং মুসলিম– সকলের ধর্মীয় পবিত্র স্থান হিসেবে সম্মানীয়। ফলে সেখানে শান্তি প্রক্রিয়া জোরদার না করে দূতাবাস বদলানো বিদ্যমান সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে।
জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার সোমবার এই দূতাবাসের উদ্বোধন করেছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, নতুন দূতাবাসের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৮৬টি দেশের কূটনৈতিকদের দাওয়াত করা হলেও ৩৩টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেসব দেশেগুলো হল—
আলবেনিয়া, এঙ্গোলা, অষ্ট্রিয়া, ক্যামেরুন, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো, আইভরি কোস্ট, চেক রিপাবলিক, ডমিনিকান রিপাবলিক, এল সাল্ভাদর, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, কেনিয়া, মিয়ানমার, সাবেক যুগোস্লাভ রিপাবলিক অফ ম্যাসেডোনিয়া, নাইগেরিয়া, পানামা, পেরু, ফিলিপাইনস, রোমানিয়া, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, সাউদ সুদান, থাইল্যান্ড, ইউক্রেইন, ভিয়েতনাম, প্যারাগুয়ে, তানজিনিয়া, জাম্বিয়া।