ভারতীয় সংসদ সদস্য শশী থারুরের বিরুদ্ধে স্ত্রী-হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ তার বিরুদ্ধে বিবাহিত নারীর প্রতি নিপীড়নের মাধ্যমে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে আদালতে। এর প্রতিক্রিয়ায় শশী থারুর এক ট্যুইট বার্তায় জানান, ‘ভ্রান্ত এই অভিযোগ দায়ের এবং সবলে সেটাকে স্থায়ী করার বিষয়টি নিয়ে আমি ভাবছি। যারাই সুনন্দাকে চিনতো তারা কেউ বিশ্বাস করে না সে আত্মহত্যা করতে পারে, সেটা আবার শুধুমাত্র আমার প্ররোচনায়’।
1/2 I have taken note of the filing of this preposterous charge sheet &intend to contest it vigorously. No one who knew Sunanda believes she would ever have committed suicide, let alone abetment on my part. If this is conclusion arrived at after 4+ yrs of investigation, (contd.)
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) May 14, 2018
তিনি আরেক টুইটে বলেন ‘যদি চার বছরের তদন্ত শেষে এই ফলাফল আসে তাহলে দিল্লি পুলিশের (তদন্তের) পদ্ধতি নিয়ে ভালো ধারণা রাখা যায় না। ২০১৭ সালের অক্টোবরে দিল্লি হাইকোর্টে আইন কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, তারা কারো বিরুদ্ধে কিছু পাননি। আর ৬ মাস পরে এসে তারা বলছেন, আমি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছি। অবিশ্বাস্য!’
ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের আইনসভা সদস্য শশী থারুর ২০১০ সালে ব্যবসায়ী সুনন্দা পুস্কারকে বিয়ে করেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির লীলা হাউস হোটেলের ৩৪৫ নাম্বার কক্ষে সুনন্দার লাশ পাওয়া যায়। সুনন্দা পুস্কারের মৃত্যুকে শুরুতে আত্মহত্যা বলা হলেও পরে পুলিশ জানায়, তিনি খুন হয়েছেন। যদিও তারা তখন কোন সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি।
প্রথম পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর জানানো হয় তার মৃত্যু অতিরিক্ত ঔষধ প্রয়োগে হয়েছে; যাতে মাদকদ্রব্য ছিল। পরবর্তী প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, তার শরীরে ‘বিষাক্ত উপাদান’, ‘রহস্যময় ইনজেকশন’ ও করতলে ‘সূক্ষ্ম ক্ষত’ রয়েছে।
সুনন্দার মৃত্যুর আগমুহূর্তে, স্বামী-স্ত্রী টুইটার ম্যাসেজের জের ধরে কলহে লিপ্ত হন। যেখানে শশী থারুরের পাকিস্তানি সাংবাদিকের সাথে প্রেমের বিষয়ে সন্দেহজনক উপাদান সামনে আসে।
উল্লেখ্য, পঁচিশ বছরের কূটনৈতিক ক্যারিয়ারে শশী থারুর জাতিসংঘের ‘কমিউনিকেশন ও পাবলিক রিলেশন’ বিভাগের অধস্তন সচিব ছিলেন। ২০০৭ সালে বান কি মুন মহাসচিব পদ থেকে সরে গেলে তিনি অবসরের ঘোষণা দেন। ২০০৯ সালে তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে যোগ দেন। কিন্তু ২০১০ সালেই আইপিএল টিমের নিলামে অংশ নেয়ায় মন্ত্রীত্বের পদ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয় তাকে। ২০১২ সালে তিনি মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।