গাজায় নিহত বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৮

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস চালু

গাজায় নিহত বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৮

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিসরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাজায় এবারের বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। ১৪ মে সোমবার গাজায় ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিক্ষোভ প্রতিবাদে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে ছোট পরিসরে অন্তর্বর্তীকালীন দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার এই দূতাবাসের উদ্বোধন করেছেন।

উদ্বোধনের খবর সরাসরি দেখেছেন বলে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলকে অভিনন্দন জানান।

 

এর আগে গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং পরে শহরটিতে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে।

মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর ও ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে পুরো সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা। সীমান্ত বেড়া পেরিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন তারা।

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি ও টিয়ারগ্যাসে ৫৮ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এছাড়াও ২৭০০ প্রতিবাদকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে অসংখ্য শিশু ও নারী রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮ জন সাংবাদিকও রয়েছেন। সপ্তাহজুড়ে চলা এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১০৪ জন ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে বলেও জানিয়েছে আলজাজিরা।