বার্সেলোনা ৫-১ ভিয়ারিয়াল
কৌতিনহো(১১”) সানসোন(৫৪”)
পউলিনহো(১৬”)
মেসি(৪৫”)
ডেম্বেলে(৮৭”,৯০+৪”)
ক্যাম্প ন্যূ’তে ভিয়ারিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ডের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো বার্সেলোনা। আর মাত্র ২ টি ম্যাচ অপরাজিত থাকলেই লা লিগার প্রথম দল হিসেবে পুরো এক সিজনে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করবে কাতালান এই ক্লাবটি।
লাইন আপ
বার্সেলোনা (৪-৩-৩)
চিলেসেন, সেমেদো, পিকে, ভার্মায়লিন, ডিগনে, পউলিনহো, বুস্কেটস, ইনিয়েস্তা, ডেম্বেলে, কৌতিনহো এবং মেসি।
সাব:- ইনিয়েস্তা-সুয়ারেজ, বুস্কেটস-রাকিতিচ, পিকে-ইয়েরি মিনা
ভিয়ারিয়াল(৪-২-৩-১)
আসেঞ্জো, গ্যাসপার, গঞ্জালেস, রুইজ, কস্তা, হার্নান্দেজ, ম্যানুয়েল, স্যামুয়েল, পাবলো, চেরিশেভ এবং কার্লোস বাকা।
সাব:- চেরিশেভ-সানসোন, ম্যানুয়েল-ফুয়েগো, কার্লোস বাকা-উনাল।
প্রথমার্ধ
ম্যাচের শুরুতেই এ সিজনের চ্যাম্পিয়নদের “গার্ড অফ অনার “দিয়ে মাঠে নামে ভিয়ারিয়াল। ইতিমধ্যেই বার্সেলোনা লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তাই মনে হতে পারে আজকের ম্যাচে জয় তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। তবে লা লিগার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রেকর্ড গড়ার জন্য পরাজয় এড়ানোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তাই সেভাবেই দল সাজিয়েছিলো বার্সেলোনা কোচ ভালভার্দে।
ম্যাচের ১১ তম মিনিটেই প্রথম সফলতা পায় বার্সেলোনা। দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শ্যূট নেয় বার্সেলোনার ফরাসি ইয়াংস্টার ডেম্বেলে।যদিও তার শ্যূটটি রুখে দেয় ভিয়ারিয়ালের গোলকিপার তবে বল গ্রিপ করতে না পারায় বল চলে যায় কৌতিনহোর পায়ে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের পা থেকেই ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। তার ৫ মিনিট পর ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুন করে পউলিনহো। ইনিয়েস্তার দেয়া এক দূর্দান্ত পাস থেকে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে যায় বার্সার ডিফেন্ডার ডিগনে তবে নিজে শ্যূট না নিয়ে বল ঠেলে দেয় সামনে থাকা পউলিনহোর পায়ে।সেই সহজ সুযোগ কাজে লাগান পউলিনহো। ভিয়ারিয়ালের গোলকিপার আসেঞ্জোর অসহায় আত্মসমার্পণ করা ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না।
ম্যাচের প্রথম দিকে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনার আক্রমণ আরও ধারালো হয়ে উঠে। তার বিপরীতে অতিথিরা কোনো সুবিধাজনক আক্রমন করতে পারেনি বার্সেলোনার বিপক্ষে। ৪১ মিনিটে একটি ভালো সুযোগ মিস করেন আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার লিও মেসি। সেই বল থেকে পাল্টা আক্রমনে চলে যায় ভিয়ারিয়াল তবে ভিয়ারিয়ালের ডিফেন্ডার কোস্তার নেয়া শ্যূট বেশ দক্ষতার সাথেই রূখে দেয় বার্সেলোনার গোলকিপার চিলেসেন।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ইনিয়েস্তার সাথে ওয়ান-টু পাস খেলে ডি বক্সে ঢুকে যায় লিওনেল মেসি। আর ইনিয়েস্তার পাস থেকে পাওয়া বল জালে জড়িয়ে প্রথমার্ধ শেষ বার্সেলোনাকে ৩-০ তে লিড এনে দেয় তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধ
প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার লক্ষ্যে মাঠে নামে অতিথিরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই ব্যবধান কমায় ভিয়ারিয়াল। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে পাবলোর নেয়া শ্যূট সানসোনের গায়ে লেগে বার্সেলোনার জালে জড়ায়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ক্যাম্প ন্যূতে ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা ইনিয়েস্তাকে তুলে নেন কোচ। গ্যালারিতে উপস্থিত থাকা সকলে দাঁড়িয়ে বার্সেলোনার অধিনায়ককে সম্মান জানায়।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ডি বক্সের ডান পাশ দিয়ে আক্রমন সাজায় রাকিতিচ। তার বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ডেম্বেলে। এবং ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে বেশ খানিকটা দৌড়ে গিয়ে একজন ডিফেন্ডারকে চিপ শ্যূট করে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোলটি করেন ডেম্বেলে।
এ জয় নিয়ে এ সিজনে ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো বার্সেলোনা।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ :- লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)।