সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ধর্ষণের জন্য সারা দুনিয়ায় সর্বাধিক আলোচিত দেশগুলোর অন্যতম। অবাক করা ব্যাপার হল ভারতে তথাকথিত অনেক ধর্মগুরুও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন নানা সময়ে। অনেকে সাজাপ্রাপ্তও হয়েছেন। অন্যদিকে আবার এসব গুরুদের অনুসারীরা এই ধর্মগুরুদের কোন অপরাধী মানতে নারাজ। তখন ঘটছে প্রতিবাদ, পুলিশের গুলি ও প্রাণহানির ঘটনা। ধর্ষকদের পক্ষেও ভারতের এক শ্রেনীর নাগরিকের এরূপ প্রতিবাদ ও রাজপথ দখল, রাজনীতি গোটা দুনিয়ার মানুষকেই বিস্মিত করছে। এক নজরে দেখে নিন এমন কিছু আলোচিত ধর্মগুরুঃ
১. গুরমিত রাম রহিম সিং
ভারতীয় ধর্মীয় সংগঠন ‘ডেরাসাচ্চা সৌদা’র প্রধান তিনি। রাম রহিম সিং শুধু স্বঘোষিত ধর্মগুরুই না তিনি সিনেমার পর্দায়ও জনপ্রিয় মুখ। ১৯৬৭ সালের ১৫ আগস্ট রাজস্থানে জন্মগ্রহণ করেন রাম রহিম। ২০০২ সালে তার আশ্রমের এক ভক্ত নারী রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে। ওই বছর সেপ্টেম্বরে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সিবিআই এর বিশেষ আদালত তাকে ধর্ষণ ও সাংবাদিক হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে।
২. আশারাম বাপু
ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপু। ২০১৩ সালে ১৬ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া প্রভাবশালী এই ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব দোষী সাব্যস্ত হয় এবছর। আদালত তাকে যাবজ্জীবন দিয়েছে। সারাবিশ্বে আশারাম বাপুর ৪০০-র অধিক আশ্রম রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিরও অভিযোগ রয়েছে।
৩. স্বামী প্রেমানন্দ
১৯৮৩ সালে একটি জাতিগত দাঙ্গায় শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে তামিলনাড়ুতে আসেন। সে সময় তার সাথে বহু ভক্তও দক্ষিণ ভারতে পাড়ি জমান। তিনি তিরিচি-তে আশ্রম স্থাপন করেন। ১৯৯৭ সালে ১৩ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৬০ বছর বয়সে কথিত এই ধর্মগুরু কুড্ডালোর সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যুবরণ করেন।
৪. স্বামী অমৃত চৈতন্য
স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু সন্তোষ মাধবন নামেও পরিচিত; যার নামে অনেকগুলো প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে দুটি ধর্ষণ ও শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে ১৬ বছরের কারাদণ্ড হয়। ২০০৮ সালে তাকে ৪৫ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগে প্রথমবার গ্রেফতার করা হয়েছিলো তাকে।
৫. স্বামী সদাচারি
কথিত ধর্মগুরু স্বামী সদাচারি যিনি কিনা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। বেশ কয়েকটি পতিতালয় পরিচালনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
৬. স্বামী নিথয়ানন্দ
বিতর্কিত ধর্মগুরু স্বামী নিথয়ানন্দ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একটি ফাঁস হওয়া ভিডিওতে তামিল অভিনেত্রী রানজিথা-র সাথে এই ধর্মগুরুকে যৌনাচারে লিপ্ত হতে দেখা যায়।
৭. ইচ্ছাচারী সন্ত স্বামী ভিমানন্দ
স্বামী ভিমানন্দ যৌনতার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দুইবার গ্রেফতার হন। প্রথমে দিল্লিতে পরে মুম্বাইয়ে। যদিও তিনি দুবারই ছাড়া পেয়ে যান। গ্রেফতারের সময়ে পুলিশ তাকে ছয় জন নারীসহ গ্রেফতার করে।