পেঁয়াজের দাম বাড়তি, সবজির বাজারেও আগুন

পেঁয়াজের দাম বাড়তি, সবজির বাজারেও আগুন

ঢাকার বাজারে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। চারদিনের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে দশ থেকে ১২ টাকা। ফলে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে এখন গুণতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর আমদানিকৃত ১২০ টাকা।

রমজানকে সামনে রেখে সবজির বাজার দরও বেড়েই চলেছে। কাঁচামরিচ ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকায়। করলার কেজি ৬০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৬২ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, লেবুর হালি ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা শষা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আলুর কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিম ৮০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১২০ টাকা ডজন।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও রায়েরবাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে।

এছাড়া চালের বাজার স্থিতিশীলই রয়েছে। সরু চাল পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা, নাজির/মিনিকেট একটু ভাল মানেরটা ৬২-৬৫ টাকা। মাঝারি চাল প্রতি কেজি ৪৫-৫২ টাকা, পাইজাম/লতা একটু ভাল মানেরটা পাওয়া যাচ্ছে ৫২-৫৬ টাকা। অন্যদিকে মোটা চাল পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫-৪৬ টাকা করে। আটা প্রতি কেজি ৬২-৭০ টাকা এবং ময়দা পাওয়া যাচ্ছে ৪২-৪৮ টাকা প্রতি কেজি দরে। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার খোলা ৮৬-৯০ টাকা; এবং বোতলে ১০৫-১১২ টাকা।

অন্যদিকে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৯০-৫৪০ টাকায়। মসুর ডাল প্রতি কেজি ৯০-১২০ টাকা, মুগ ডাল ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি প্রতি। ছোলা মানভেদে প্রতি কেজি ৭২-৮০ টাকা। অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে। চিনি ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি; এবং খেজুর পাওয়া যাচ্ছে ১২০-২৫০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া মাছের মধ্যে রুই প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা এবং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগী ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি আর দেশি মুরগী ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৪৬০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি চলছে।

সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এরমধ্যেই পেঁয়াজ ও কাঁচা সবজির বাজারে দাম বাড়া শুরু হয়ে গিয়েছে, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।