এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও তা অল্প কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী সুবিধা পেয়েছে বিধায় পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, প্রশ্নফাঁসে পাঁচ হাজারেরও কম শিক্ষার্থী সুবিধা পেয়েছে। এ কারণে পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সারা দেশেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করে আসছেন। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে খবর বের হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়। কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও শিক্ষাবোর্ডগুলোর প্রতিনিধি রাখা হয়।
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না, তা যাচাই বাছাই করে ১১ সদস্যের ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসএসসি পরীক্ষা বাতিল না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কমিটি শুধু এসএসসি পরীক্ষার একটি সেটের এমসিকিউ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য পেয়েছে। এতে পাঁচ হাজারের কম শিক্ষার্থী সুবিধা পেয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এ কারণেই আমরা পরীক্ষা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত ফেব্রয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ ছাত্র ও ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ ছাত্রী রয়েছে। ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হয়।