ফিলিস্তিনি কিশোর হত্যার দায়ে ইসরায়েল তাদের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মাত্র ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসরায়েলের আদালত। হত্যাকাণ্ডে এমন তুচ্ছ শাস্তিকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও অ্যাক্টিভিস্টরা। নিহত কিশোরের আত্মীয় স্বজনরা বলেছেন, একজন নিরস্ত্র ছেলেকে হত্যার অপরাধে মাত্র নয় মাসের জেলদণ্ড দিয়ে ইসরায়েল প্রমাণ করেছে যে তাদের বিচার ব্যবস্থা কতটা কলুষিত।
২০১৪ সালের মে মাসে ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের বাইতুনিয়ায় ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নিরপরাধ কিশোরকে ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশের কর্মকর্তা বেন দেরি গুলি করে হত্যা করছে এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একই দিনে ১৬ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি অারেক কিশোর মোহাম্মদ আবু তাহেরকে গুলি করে হত্যা করে ফিলিস্তিনি বাহিনী, অথচ কোন সরাসরি প্রমাণ না থাকায় সে ঘটনায় কিছুই করেনি ইসরায়েল। ময়নাতদন্ত কিংবা মামলা, কোনটিই হয়নি।
বুধবার জেরুজালেমের ইসরায়েলি জেলা আদালত ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে বেন দেরিকে নয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার শেকেল ক্ষতিপূরণ ধার্য করে।
বিচার চলাকালে গত বছর বেন দেরি আদালতের কাছে দাবি করেন তিনি ভুল করে রাবার বুলেটের জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেছেন। আদালত তার এই দাবি মেনে নেয় এবং তাকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে অবহেলার অপরাধে বিচারকার্য চালিয়ে যায়। বিচার শেষে তাকে এমন লঘুদণ্ড দেয়া হয়।
নিহতের পরিবারের লোকজন অবশ্য একে ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্তার দৈন্যতার একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নাদিম নুয়ারার পিতা সিয়াম নুয়ারা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন যাবৎ আমরা নাদিমের হত্যার বিচার চেয়ে আসছি, এর পেছনে ঝুলে আছি অথচ আজ আমরা এমন প্রহসনমূলক রায় পেলাম’।
আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমি প্রমাণ করেছি যে ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্থা একপেশে এবং ফিলিস্তিনিদের বেলায় অন্যরকম। এখন এটা পরিষ্কার যে, নাদিমকে ইচ্ছা করেই হত্যা করা হয়েছিল’।