তিব্বত স্বাধীনতা নয়, উন্নয়ন চায়: দালাই লামা

তিব্বত স্বাধীনতা নয়, উন্নয়ন চায়: দালাই লামা

‘তিব্বত চীনের নিকট থেকে স্বাধীনতা চায় না বরং ব্যাপক পরিসরে উন্নয়ন চায়’, ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে আয়োজিত এক বকতৃতায় তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা এই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘চীন ও তিব্বতের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। যদিও একটা সময়ে আমাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ ছিল’।

তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে ও সাংস্কৃতিক দিক বিবেচনায় তিব্বত সবসময়ই স্বাধীন অঞ্চল ছিল। ১৯৫০ সালে চীন এই অঞ্চলটির দখল নেয়, যাকে চীন বলে থাকে ‘শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীন’ করা। চীনের সংবিধান যতদিন আমাদের সংস্কৃতি এবং তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলের বিশেষ ইতিহাসকে স্বীকৃতি দেবে ততদিন এই অঞ্চলটি চীনের সঙ্গে থাকতে পারে’।

১৯৫৯ সালে চীনের সেনাবাহিনী তিব্বতের আন্দোলনকারী নেতাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করে। তখন দালাই লামার বয়স ছিল ২৩ বছর। এ সময়ে তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন এবং তারপর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন।

সিএনএন এর ভাষ্য মতে, দালাই লামা ১৯৭৪ সাল থেকে তিব্বতের জন্য ‘অর্থবহ স্বায়ত্তশাসন’ চেয়ে আসছেন। তিনি তার পর থেকে আর তিব্বতকে চীন থেকে পুরোপুরি আলাদা করতে চাননি।

তাছাড়া এই মাসেই ভারতের অরুণাচল পরিদর্শনের সময়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারত আমাকে চীনের বিরুদ্ধে কখনই ব্যবহার করতে চায়নি’। ‘আমরা তিব্বতের স্বাধীনতার চেয়ে স্বায়ত্তশাসনকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি’।

উল্লেখ্য, তিব্বতের এই নেতাকে রাজনৈতিক আশ্রয়দানের জন্য ভারতের প্রতি চীন বেশ কয়েকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে দালাই লামার সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। কিন্তু, ভারত সরকারের দাবি, দালাই লামা একজন আধ্যাত্মিক নেতা, তাই ভারতের যে কোন অংশে তিনি পরিদর্শনে যেতে পারেন।