সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারে চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এপ্রিলের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না জারি হলে মে মাসের শুরু থেকে আবারো আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার রক্ষা পরিষদের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রী গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার রক্ষা পরিষদের যুগ্ন-আহ্বায়ক নুরুল হত নুরু এই ঘোষণা দেন।
এছাড়াও তিনি ঢাবি প্রশাসনের একটি ও পুলিশের চারটি মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার সুযোগ রয়েছে, একারণে এসব মামলা তুলে নিয়ে দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের নামে মামলা দিতে হবে।
দৈনিক জনকণ্ঠের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, যদি পত্রিকাটি তাদের এই রিপোর্ট আজকের মধ্যে তুলে না নেয় তবে সারাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে জনকণ্ঠ পত্রিকা বর্জন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরাও চাই, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গেজেট আকারে প্রকাশ হোক। আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। আমরা ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের জন্য অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অল্প কিছু মিডিয়া আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
রাশেদ খান আরো বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে এর আগে একটি পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ ছেপে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০ এপ্রিল আরেকটি পত্রিকা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরও একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এটি বিকেলের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ফারুক খানসহ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।