গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার আগেই মৌসুমী ফল আনারস বাজারে চলে আসে। বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ফল। রাঙামাটি থেকে আসা পাহাড়ি আনারস এবং টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে আসা আনারস রাজধানীর সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। ৩০ থেকে ৫০ টাকা হলেই একটি রসালো ফল পাওয়া যায়। যা তীব্র গরমে পথচারীদের স্বস্তি দিয়ে থাকে। স্বস্তির পাশাপাশি আনারসের রয়েছে নানান গুণ।
আনারসের প্রতিটি বড় টুকরায় একশোর কাছাকাছি ক্যালরি থাকে। এতে কোন চর্বি অথবা কোলেস্টেরল নেই। কম মাত্রার সোডিয়াম ও উচ্চ ফাইবার রয়েছে। যা ডায়েট খাদ্য তালিকার জন্য উৎকৃষ্ট।
আমাদের ধারণা কমলা ভিটামিন-সি’র সর্বোৎকৃষ্ট উৎস, অথচ এক কাপ কমলার জুসে যেখানে ৬৯.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন থাকে সেখানে এক কাপ আনারসের জুসে সেখানে ৭৮.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন রয়েছে। যা হৃদরোগ এবং গ্রন্থির ব্যাথার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ডিএনএ-র ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এর ভিটামিন-সি শরীরে কোলাজেন উৎপন্ন করে লৌহ শোষণ করতে সহায়তা করে।
আনারসে ব্রোমেলিন নামে এক প্রকার এনজাইম থাকে যা ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রোটিন সংশ্লেষ করে হজমে সহযোগিতা করে এবং পরিপাক সুস্থ রাখে।
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানেজ থাকে যা শরীরের সংযোগকারী টিস্যু ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। এটি মহিলাদের অস্টিওপ্রোসিসের ঝুঁকি কমায়। প্রোলিডেস এনজাইম যা ত্বকে কোলাজেন বৃদ্ধি করে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।