যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অন্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে_
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
_কাজী নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশের জাতীয় কবির নাম সুদুর ইংল্যান্ডে আর্সেন ওয়েঙ্গার শুনেছেন বলে মনে হয় না। কিন্তু বর্তমানে তার মনের যে অবস্থা তাতে বাংলায় দখল থাকলে ঠিকই নজরুলের অমর কাব্যগ্রন্থ হাতড়ে এ কবিতাটি বের করতেন। ২২ বছর ধরে তিলে তিলে যে সাম্রাজ্য গড়েছেন, সাদামাটা ক্লাব থেকে অভিজাতে পরিণত করেছেন প্রিয় আর্সেনালকে; সেখান থেকে এমন বিদায় তার প্রাপ্য ছিল না।
আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে পুরো সিদ্ধান্তটিই ওয়েঙ্গারের স্বেচ্ছায় নেয়া। কিন্তু এর পেছনে অনুঘটক হিসাবে কাজ করছে বোর্ডের নব প্রজন্ম, ঘরের মাঠের খালি সিট, এবং ক্রমাগত ওয়েঙ্গার আউট স্লোগান। এর শেষ পরিণত যে ওয়েঙ্গারের বিদায়েই হতে পারে এমন অনুমান জবান করেছিল আগেই।
আর্সেন হু?, ইন ওয়েঙ্গার উই ট্রাস্ট থেকে ওয়েঙ্গার আউট
১৯৯৬ সালে যখন হাইবুরিতে প্রথম পা রাখেন ইংলিশ গণমাধ্যম তাকে স্বাগত জানিয়েছিল ‘আর্সেন হু?’ শিরোনামে। শুধু গণমাধ্যমই না, খেলোয়াড়েরাও দ্বিধান্বিত ছিল এ ফরাসিকে নিয়ে। লিকলিকে গড়ন, মোটা ফ্রেমের চশমা; ঠিক ফুটবল টিমের ম্যানেজারের মতন লাগত না তাকে। ওয়েঙ্গারের অধীনে যিনি নিজেকে সবচেয়ে সফলভাবে তুলে ধরেছিলেন সেই টনি অ্যাডামস সন্দিহান ছিলেন ওয়েঙ্গারের ইংলিশ জ্ঞান নিয়েই!
মাত্র দুই বছর সময় নিয়েছিলেন অার্সেনকে চিনাবার জন্য। তাও একটি না, ডাবল জিতে। ‘আর্সেন হু?’ শিরোনামকারী খোয়াবেও ভাবেননি ওয়েঙ্গার নামক আফতাবের আলোয় ম্লান হয়ে যাবে বাকি সব।
সাফল্য গাঁথার সেই শুরু। সবার অলক্ষ্যেই গড়ে তুললেন ‘দ্য ইনভিন্সিবল’। অবাক বিস্ময়ে কুল কায়েনাত দেখলো ওয়েঙ্গারের শিষ্যদের সামনে কর্পূরের মতন উড়ে যাচ্ছে বাকি সবাই। স্যার ফার্গুসন, ম্যাট বাসবি থেকে শুরু করে কেউ যা পারেননি সেটিই করে দেখালেন তিনি। প্রতিদ্বন্দীতার দিক থেকে সবচেয়ে কঠিন প্রিমিয়ার লিগে পুরো মৌসুম শেষ করলেন অপরাজিত থেকে। ইতিহাসের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষবার; কারো হাতে উঠল গোল্ডেন লিগের শিরোপা। ‘আর্সেন হু’ ব্যানার বদলে গিয়ে হয়ে গেল ‘ইন ওয়েনঙ্গার উই ট্রাস্ট’। আরেকটি ডাবলও আসল।
কিন্তু মধুচন্দ্রিমারক্ষণটি বেশি দিন স্থায়ী হল না। এক এক করে বিদায় নিলেন ‘দ্য ইনভিন্সিবল’ এর স্তম্ভরা। হাল না ছাড়া ওয়েঙ্গার একের পর এক চেষ্টা করে গেলেন, কিন্তু চেনা সাফল্যই যেন অবগুন্ঠনে আড়াল করে নিলো মুখশ্রী। মাঝে তো প্রায় এক দশক কাটলো বড় কোনো শিরোপা ছাড়াই। ততদিনে বদলে গিয়েছে ব্যানার। ‘ইন ওয়েঙ্গার উই ট্রাস্ট’ থেকে হয়ে গেল ‘ওয়েঙ্গার আউট’!
শুধু এমিরেটেসেই না, সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফি; ক্রিকেটের আসরেও দেখা গিয়েছে এ প্ল্যাকার্ড। পরপর দুবার এফএ কাপের শিরোপা জিতলেও ওয়েঙ্গার নিজেও জানতেন সমর্থকদের মনের আশা পূরণে এটি সঠিক তাবদির না। তাই চুক্তির মেয়াদ বাকি থাকার পরেও স্বেচ্ছায়ই সরে দাড়ালেন গানার্স রাজ্যের এই ফরাসি সম্রাট।
বুকের মাঝে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলো
কূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বল
নেই নিকটে– হয়তো ছিল বৃষ্টি আসার আগে
চলচ্ছশক্তিহীন হয়েছি, তাই কি মনে জাগে
পোড়াবাড়ির স্মৃতি? আমার স্বপ্ন মেশা দিনও?
চলচ্ছশক্তিহীন হয়েছি, চলচ্ছশক্তিহীন।
_ শক্তি চট্টোপাধ্যায়
আজকের এই ‘ওয়েঙ্গার আউট’ প্ল্যাকার্ডটা আর্সেনের বুক কতটা ক্ষত বিক্ষত করে তা বুঝতে বিজ্ঞ হবার প্রয়োজন নেই। বিদায়ের ঘোষণা দেবার পর প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেনও সে কথা। সমর্থকদেক এ আচরণ বৈশ্বিকভাবে যে আর্সেনালের ক্ষতি করছে তা থেকে প্রিয় ক্লাবকে বাঁচাতেই নিজের সরে যাওয়া।
প্লেকার্ডধারীরা কি জানে? আর্সেনাল বলতে আজকে যে ক্লাবটির অবয়ব চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটি তৈরি করার পেছনের মূল কারিগর কে? যখন তিনি দায়িত্ব নেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী দশ ক্লাবের মধ্যেও আর্সেনালের নাম ছিলো না। আজ? পুরোটাই ওয়েঙ্গারের কৃতিত্ব। সীমিত বাজেটে দিনের পর দিন লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন বাকিদের সাথে। গড়ে তুলেছেন নতুন স্টেডিয়াম। আর্সেনাল বোর্ডকে দাঁড় করিয়েছেন আর্থিকভাবে শক্ত একটি অবস্থানের ওপর। অথচ, তিনিই এখন অচল।
ওয়েঙ্গার মন মতো দল পেলে কি করতে পারেন তার অকাট্য প্রমাণ ‘দ্য ইনভিন্সিবল’। হালে, বিলিওন ডলার খরচ করেও যা কেউ করে দেখাতে পারেনি। যখনই একটা দল প্রায় গড়ে তুলেছেন তখনই খেলোয়াড়রা পিঠ দেখিয়ে ঠাই নিয়েছে শত্রু শিবিরে। তবু, আর্সেন দমেননি। ভাঙ্গাচোরা দল নিয়েই চালিয়ে গিয়েছেন যুদ্ধ। টানা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ালিফাই করার, টানা নক-আউট পর্বে ওঠার কৃতিত্ব এ ফরাসি ভদ্রলোকের।
আর্সেন পরবর্তী যুগে হয়তো নতুন কোচ এসে কাঙ্খিত শিরোপা এনে দিবেন। কিন্তু তার জন্য যে অর্থ ব্যায় করার সুযোগটি তিনি পাবেন সেটিও এই ওয়েঙ্গারেরই কৃতিত্ব। বোর্ডকে একটি শক্ত আর্থিক ভিত্তিতে দাড় করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর্সেন আর্সেনালকে কতটা ভালোবাসেন তা বোঝা যায় খুব সহজেই। ক্যারিয়ারের মধ্য গগণে যখন রিয়াল-বার্সার মত দলেরা টাকার থলি নিয়ে তার পেছনে ঘুরেছে সেই আহবান উপেক্ষা করে তিনি থেকে গিয়েছেন লন্ডনেই। আজ সে লন্ডনেই উড়ে ‘ওয়েঙ্গার আউট’ প্ল্যাকার্ড!
ওয়েঙ্গারের প্রভাব বা ফুটবলে তার অবদান বুঝতে গেলে শুধু তার ট্রফির দিকে তাকালে এক প্রকার মূর্খতা হবে। ইংলিশ ফুটবলকে বদলে দেয়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় তাকে।
নতুন ট্রেনিং মেথডস
ওয়েঙ্গারের প্রথম বিপ্লবই ছিল প্রচলিত ট্রেনিং মেথডে পরিবর্তন নিয়ে আসা। বহু বছর ধরে চলে আসা ধরাবাঁধা ট্রেনিং মেথডে তিনি যথন পরিবর্তন আনলেন অনেকেই সেটা সহজে নিতে পারেনি। পরবর্তীতে তার এ মেথড শুধু আর্সেনালই না, অন্যান্য দলের কাছেও উদাহরণে পরিণত হয়েছিল।
ডায়েট হ্যাবিট
সে সময়টায় খেলোয়াড়দের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামাতো না। ইউনাইডেট খেলোয়াড়রা অবাক হয়ে গানার্স খেলোয়াড়দের খাবার দেখত, যা ছিলো সম্পুর্ণ ভিন্ন। কম চিনি, কম ফ্যাট, কম মাংস এবং বেশি সবজি; এই ছিল ওয়েঙ্গারের দলের মেন্যু। চিপস এবং বার্গার পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল ক্যান্টিন থেকে। অ্যালকাহোল সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ না হলেও সেটির মাত্রা ছিল নির্ধারিত। এ যুগে অনেক দলেই পুষ্টিবিদ তো স্বাভাবিক বিষয়। এমনকি অনেক খেলোয়াড়েরই নিজস্ব শেফ রয়েছে। অথচ, আর্সেন এটি করেছিলেন ‘৯৬ সালেই।
বিদেশী কোচদের প্রতি মনোভাব বদল
আজকের দিনে প্রিমিয়ার লিগের বড় ক্লাবগুলোতে বিদেশি কোচ তো স্বাভাবিক বিষয়। ইউনাইটেডে মোরিহনো, সিটিতে গার্দিওলা, চেলসিতে কন্তে, লিভারপুলে ক্লপসহ আরো অনেকেই আছেন। অথচ, ওয়েঙ্গার পূর্ব জামানায় এটি ছিল অকল্পনীয়। বিদেশিরা ইংল্যান্ডে সফল হবে এমনটা কেউ কল্পনাও করেননি। ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড তো শিরোনামই করেছিলো ‘আর্সেন হু?’। এমনকি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনও বলেছিলেন, ‘সে ইংলিশ ফুটবলের কি জানে?’ নিজের সময়ে আর্সেন দেখিয়েছেন তিনি শুধু ইংলিশ ফুটবল সম্পর্কে জানেনই না, বেশ ভালোই জানেন। আর তার এই সাফল্যই বাকি বিদেশি কোচদেক জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে ইংলিশ ফুটবলের অংশ হবার।
খেলার ধরন
বোরিং আর্সেনালের রেপুটেশনটাও বদলে গিয়েছে আর্সেনের হাত ধরেই। হ্যাঁ, সে অর্থে ট্রফি হয়তো আসেনি, কিন্তু ইংলিশ লিগের অন্যতম এন্টারটেইনার এখন গানার্সরা। ডিফেন্ডারদেরও পূর্ণ স্বাধীনতা তিনি দিয়েছিলেন আক্রমণে ভূমিকা রাখার, এতে যে অনেক সময় বিপদ হতো না তা না। কিন্তু, নয়নাভিরাম ফুটবল; যা মানুষের মনে দাগ কাটে সেটি বছরের পর বছর এভাবেই খেলে আসছে আর্সেনাল।
আর্সেনের ট্রান্সফার পলিসি নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে বহুদিন। অথচ, সমালোচকরা এটি ভুলে গিয়েছিলেন যে, নতুন মাঠ করতে গিয়ে বিশাল দেনার নিচে পড়া আর্সেনাল ওয়েঙ্গারের হাতে খরচ করার মত তেমন অর্থের যোগান দিতে পারেনি। ‘দ্য ইনভিন্সিবল’ এর অন্যতম তিন প্রাণ ভিয়েরা, পিরেস এবং অঁরিকে কিনতে তিনি কতটুকু খরচ করেছিলেন জানেন? যথাক্রমে সাড়ে তিন মিলিয়ন, ছয় মিলিয়ন এবং ১১ মিলিয়ন পাউন্ড। নিজের সর্বশেষ মৌসুমেই যে কায়দায় সানচেজ এর বদলে মিখিতারিয়ান এবং অবামেয়াংকে দলে ভেড়ালেন সেটিও ছিলো দেখার মতো।
সামির নাসরি, ফেব্রেগাস, পার্সি, সাগনা, ক্লিশি এরা যখন প্রস্তুত সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজেদের সেরাটা দেয়ার জন্য, এবং তিলে তিলে তাদের গড়ে তোলে ওয়েঙ্গার যখন স্বপ্ন বুনছিলেন আরো একবার সাফল্যের ভেলায় ভাসার, তখনই তারা অন্য পথে হাটলেন। নতুবা, মাত্র তিনটি লিগ শিরোপায়ই সন্তোষ্ট থাকতে হতো না তাকে।
মানুষ ওয়েঙ্গার
মানুষ ওয়েঙ্গার কেমন ছিল তার যথার্থ বর্ণনা দিয়েছেন সাবেক গানার্স তারকা বব উইলসন। তিনি বলেন ‘আমি শক্ড। আমার জীবনে দেখা সেরা তিনজন ব্যাক্তির একজন আর্সেন। আমি শুধু তার ফুটবলজ্ঞান বা কিভাবে সে খেলাটা বদলে দিয়েছে সেটি নিয়ে কথা বলছি না, আমি কথা বলছি খেলার বাইরের মানুষ ওয়েঙ্গারকে নিয়ে। যে আমার এবং আমার স্ত্রীর পাশে দাড়িয়েছিল এমন কঠিন একটা সময়ে যখন যখন আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের মেয়েকে হারিয়েছিলাম। সে অসাধারণ ছিল ঐ সময়টায়। সে আমার সাথে আনাকে (ববের মেয়ে) নিয়ে কথা বলেছিল। কথা বলেছিল হিউম্যান স্পিরিট নিয়ে’।
ডেইলি মেইলের ম্যাট বার্লো বলেন ‘প্রায় সবসময়ই চুপচাপ। মাঝে মধ্যে চার্মিং এবং ফ্রেন্ডলি। মিডিয়ার সাথে তার সম্পর্ক ছিল পেশাদার এবং চটপটে। তাকে যেকোনো প্রশ্ন ছুড়ে দিলেই সে জবাব দিতো, এবং সেটি ছিলো শোনার মতো। এবং এটি ছিলো দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। এমন সময় গিয়েছে যখন তাকে প্রতিনিয়ত ট্রফি, রেকর্ড এবং তার ভবিষ্যত নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করা হয়েছে, সে সবসময় সেগুলোর উত্তর দিয়েছে। বিশ বছর আমি ওয়েঙ্গারকে নিয়ে রিপোর্ট করেছি। আমরা তাকে মিস করব’।
গানার্স খেলোয়াড়দের ওপর আর্সেনের কতটা প্রভাব ছিলো তা বোঝা যায় বর্তমান ক্যাপ্টেন মাটাসেকারের কথায়। যিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন ওয়েঙ্গার অন্যতম মূল কারণ যে জন্য মাটাসেকার এখনো আর্সেনালে খেলছেন। আবেগাপ্লুত স্বরে প্রায় একই কথা বলেছেন মিডফিল্ডার জ্যাক উইলশেয়ারও।
সাবেকদের মধ্যে নোয়ানকো কানু তো বলেছেনই আর্সেনের অধীনে কাটানো সময়টাই তার জীবনের সেরা সময়। বর্ণবাদের শিকার জর্জ উইয়াহ জানিয়েছিলেন কঠিন সে সময়টিতে আর্সেন কিভাবে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আর্সেনের দেয়া আত্নবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে উইয়াহ তো এখন নিজের দেশের প্রেসিডেন্টই।
আর্সেন যখন আসেন তখন আর্সেনালের টিকিট এর দাম ছিলো সাড়ে ১৪ পাউন্ড যা এখন ৭৪ পাউন্ড। বার্ষিক বেতন খরচ ছিল ১৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন যা এখন ২০০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। রেকর্ড ট্রান্সফার ছিলো সাড়ে ৭ মিলিয়ন (বার্গক্যাম্প) এর এখন সেটি ৫৬ মিলিয়ন (অবামেয়াং) এর।
আজ সে ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি
এমন ছিল না– আষাঢ় শেষের বেলা
উদ্যানে ছিল বরষা-পীড়িত ফুল
আনন্দ ভৈরবী
_শক্তি চট্টোপাধ্যায়
বেলা বদলে গিয়েছে। এখন আর সুন্দর ফুটবলই সব না। ফল সর্বস্বতার কাছে হার মেনেছে সবই। তাই তো নিজের গড়ে তোলা বাগানের সৌন্দয্য ধরে রাখতে মালিই বিদায় নিচ্ছে স্বেচ্ছায়। হয়তো, আজ না, কালও না, একটা সময় ঠিকই বোঝা যাবে ফলের নেশায় কি হারালো আর্সেনাল, ফুটবল।
সে যাই হোক, ভালো থাকুক দ্য প্রফেসর।