‘বেশ ভেবেছি, তারপর ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো বিদায়ের এখনই সময়। মনে রাখার মতো অনেক সময় কাটিয়েছি এখানে। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন একসাথে পথ চলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার’…
এভাবেই বিদায়ের ঘোষণা দিলেন আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। লন্ডনের বিকালকে থমথমে করে ২২ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানার কথা বলেই দিলে ২০০৫ এর অপ্রতিরোধ্য আর্সেনালের মহাগুরু। এখনই যাচ্ছেন না। মাঠে, ঘাটে, এমনকি কনসার্টেও ‘ওয়েঙ্গার আউট’ হ্যাশট্যাগ দেয়া ভক্তকূলকে অপেক্ষা করতে হবে মৌসুম শেষের। তাদের হৃদয়েও কি বাজছে না বেহালার করুণ রাগ? হ্যাশট্যাগ দেয়া কতজনের শুক্রাণুও তখন মায়ের গর্ভে আশ্রয় নেয়নি, তার আগেই ৪৬ বছরের ফ্রেঞ্চম্যান ওয়েঙ্গারের হাতে দায়িত্ব তুলে দেয় ইস্ট লন্ডনের ক্লাবটি।
১লা অক্টোবর ১৯৯৬ থেকে পরের ২২ বছরে সূর্য বাইশ বার পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে নিয়েছে। কিন্তু, ওয়েঙ্গার অাস্থায় অনড় ছিলেন। জিতিয়েছেন তিনটে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, সাতটি করে এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড। ২০০৫ এর অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন আর্সেনাল ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে, সঙ্গে ওয়েঙ্গারও। গত সিজনে বলেছিলেন, ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছে নেই। ব্যর্থতায় বদলে গেছে ভাবনা। গতবার ৫ নম্বরে থেকে লিগ শেষ করায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা মেলেনি, এবার আছে ছয়ে! আশার কথা ইউরোপা লিগের সেমিতে চার দলের একটি নাম গানার্স। ২৬শে এপ্রিল আর ৩রা মে সেমির দুই লেগ ওয়েঙ্গারের শেষবার অস্ত্রপ্রয়োগের মঞ্চ। কাপ জিতিয়ে পরেরবার ইউসিএলে ঠাঁই মিলিয়ে দেওয়াটাই হবে প্রাণের এমিরেটসকে দেওয়া ফাইনাল গিফট। তারপর তো দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে যাবে বেঁকে! ধন্যবাদ কোচিং জগতের উৎসর্গী কিংবদন্তি…