অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার এক মসজিদে ‘তুর্কি-ইসলামিক কালচারাল এসোসিয়েশেন’ কর্তৃক শিশুদের অভিনয়ে প্রতীকী যুদ্ধ প্রদর্শন করায়, মসজিদটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে সে দেশের সরকার।
জানা যায়, একদল শিশু তুরস্কের পতাকা ও সেনাবাহিনীর পোশাক পরিধান করে এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। তারা অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের গ্যালিপলি যুদ্ধের চিত্র তুলে ধরে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্যালিপলিতে তীব্র যুদ্ধ সংগঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে মিত্র পক্ষের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে সক্ষম হয় অটোম্যান বাহিনী। এই বিজয় এখনো উদযাপন করা হয় তুরস্কে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আধুনিক তুরস্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল বলেও মনে করা হয়। তুরস্কে এটি ‘কানাককালের যুদ্ধ’ হিসবে পরিচিত।
সম্প্রতি অনুষ্ঠানটির ভিডিও ইন্টারনেট ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় একজন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সেজে ভাষণ দিচ্ছেন। তারপরে তারা প্রতীকী মিছিল বের করে। সর্বশেষ তারা শহীদ হওয়ার অভিনয় করে।
বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রিয়ার সরকার বেশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। দেশটির চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্য বলেছেন, ‘অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী মসজিদটি বন্ধ করে দেয়া হতে পারে’।
তিনি এই ভিডিও প্রদর্শনকে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড উল্লেখ বলেন, ‘সরকার কঠোর হাতে এসব দমন করবে’।
এই ঘটনার পরে জার্মানভিত্তিক তুর্কি-ইসলামিক কালচারাল এসোসিয়েশন গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলেছে, ‘এই প্রদর্শনীর সাথে তুর্কি জাতীয়তাবাদ বা সেনাবাহিনীর কোন তুলনা করার সুযোগ নেই’।
Video zeigt: Auch #Ditib-Moschee in Mönchengladbach lässt Kinder Krieg spielen https://t.co/OSA1Nzyo0N Soweit ich weiß war es eine deutsche Idee, dass die religiöse Betreuung von Migranten den Heimatländern überlassen wird. Das kommt davon, wenn man Integration nicht Ernst meint. pic.twitter.com/1M4aPP000o
— Daniel Bröckerhoff (@doktordab) April 17, 2018
উল্লেখ্য, তুরস্কের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার সম্পর্ক বহুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। অস্ট্রিয়ার বর্তমান সরকার তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নেয়ার বিরুদ্ধে। তারা তুরস্কের ইইউতে যোগ দেয়ার আলোচনা ভেঙ্গে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে অতীতে।