গত ১০ই এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় হল শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মুর্শেদা খানমসহ ২৪জনকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
ছাত্রলীগের নোটিশে আরো বলা হয়, ১০ই এপ্রির দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনার সঙ্গে জড়িতের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক খালেদা হোসেন মুনও রয়েছেন।
বাকিরা হলেন- সুফিয়া কামাল হল শাখার সহ-সভাপতি আতিকা হক স্বর্ণা, মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার সুমি, সহ-সম্পাদক শ্রাবণী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার, উপ-তথ্য গবেষণা সম্পাদক (চারুকলা) আশা, নাট্যকলা বিভাগের লিজা, মিথিলা নুসরাত চৈতী, সঙ্গীত বিভাগের সোনম সীথি, চারুকলার অনুষদের সুদিপ্তা মন্ডল, অনামিকা দাস, সঙ্গীত বিভাগের প্রিয়াংকা দে, প্রভা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শারমিন সুলতানা, উর্দু বিভাগের মিতু, ভূ-তত্ত্ব বিভাগের শিলা, জাকিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মনিরা, রুমা, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের জুঁই, বাংলা বিভাগের তানজিলা, সমাজ কল্যান বিভাগের তাজ।
এ ঘটনা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে ওই সংগঠন থেকে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
তবে পরে ছাত্রলীগের এক তদন্তের পর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে পদে পুনর্বহাল করা হয়।
তারপরই এই ২৪ জনকে বহিষ্কারের খবর এলো। বহিষ্কৃতদের মধ্যে কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের অন্যতম সহসভাপতি মুর্শেদা খানমও রয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল যে তাকে ইফফাত জাহান এশা তাকে মারধর করেছেন এবং এসময় তার পায়ে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ই এপ্রিল দিবাগত রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি ইফফাত জাহান ইশা ও তার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।