‘বাপ কা বেটা’র সহিশুদ্ধ নজির

‘বাপ কা বেটা’র সহিশুদ্ধ নজির

রক্ত নাকি কথা বলে! ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়রকে দেখলে ‘নাকি’ শব্দটা প্রয়োগের নূন্যতম প্রয়োজন পড়বে না। মাথায় তখন খেলা করবে ‘বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া’ প্রবাদখানা, এ যেন প্রবাদবাক্যদির সহিশুদ্ধ নজির। কী করল সাত বছরের রোনালদোতনয়? তার বাপকে কপি করেছে। ও সবাই’ই করে। বাবা’ই তো সবার সুপার হিরো। বাপের নাম যদি হয় রোনালদো, সূচনার যবনিকাপাত ওখানেই টানা লাগে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগের খেলায় জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটা নিশ্চয়ই এ কদিনে ভুলে যাননি? এসব গোল কেউ কখনো ভোলে না, দুই তিন দিন বলাটা নিছক রম্যরস। ক্যারিয়ারে সফল বাইসাইকেল গোল করলেন সিআরসেভেন, প্রথমবার। পিতা রোনালদো এগিয়ে গেছে, পুত্র রোনালদো পিছিয়ে থাকবে কেন? রবিবার মাদ্রিদ ডার্বির আগে রোনালদো জুনিয়রও ট্রাই করলো, স্টেপ টু স্টেপ।

সর্বশেষ গতকালের খবর মতে, মাদ্রিদের জুনিয়র স্কুল ফুটবল লিগে এবার মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফির পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছে জুনিয়র রোনালদো।

নাতির এ কীর্তির খবর বিশ্ববাসীকে জানাতে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিটির ক্যাপশনে রোনালদোর মা আলভেইরো লিখেছেন, ‘মাছের সন্তানেরা জানে, কীভাবে পানিতে সাঁতার কাটতে হয়।’

এবার দু সপ্তাহ আগে চোখ ফেলা যাক। ক্রিশ্চিয়ানোর বাড়িতে এসেছেন এক সময়ের রেড ডেভিল সতীর্থ ইংলিশ ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। স্টপার হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছেন জীবনভর। রোনালদোর বাড়ির বাগানে দুই মহাতারকার সাথে খেলতে নেমে রোনালদো জুনিয়র ফাঁকি দিল ফার্ডিকে! ফার্ডিনান্ডের ভাষাতেই স্পষ্ট হয় ছোট ক্রিশ্চির সম্ভাবনা। ‘আমি জাস্ট চেয়ে ছিলাম ওর বলগুলো জালে যাচ্ছে’। ডিফেন্ডার রিওকে তো পরাস্ত করা গেল, গোলকিপার রিওকে? নাইকি’র বুট পরে বাপজানে বুলেট গতির একেকটা শটে নামজাদা গোলরক্ষকদের খাবি খাওয়ান, সেই নাইকির জুতোয় ঘরের আঙ্গিনায় অদক্ষ কিপার ফার্ডিনান্ডকে কুপোকাত করতে ছোটজনার কতক্ষণ?

বাবা এবং বাবার পুরনো সাথীর সাথে পুরোটা সময় হাসিমজায় কাটিয়েছে সাত বছর বয়সী ক্ষুদে ফুটবলার। ফ্রিকিক, বাইসাইকেল ছাড়াও রোনালদোর অন্যান্য কৌশলগুলি নিয়েও নিয়মিত চেষ্টা তদবির চালায় সে। দশ বারো বছর পরে হয়তোবা কমেন্ট্রিবক্স থেকে ধারাভাষ্যকার চেঁচিয়ে উঠবেন– ‘নো ডিএনএ টেস্ট নিডেড! ইট’স রোনালদো, জুনিয়র রোনালদো’ বলে…