‘আমাদের চোখমুখ বেধে মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেয়া হয়’

‘আমাদের চোখমুখ বেধে মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেয়া হয়’

কোটা সংস্কার আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, ডিবি পুলিশ তাদেরকে গাড়িতে তুলে গামছা দিয়ে চোখমুখ বেধে মাথায় হেলমেট পরিয়ে দিয়েছিল।

সোমবার ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে একটি সাদা গাড়িতে করে আন্দোলনের তিন নেতাকে আচমকা তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২ ঘন্টা আটকে রেখে দুপুর আড়াইটার দিকে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। ডিবি অফিস থেকে মুক্ত হয়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক নুর এমন অভিযোগ করেন।

আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘আমাদেরকে তুলে নেওয়ার সাথে সাথেই ভেবেছি আর হয়ত জীবিত ফিরতে পারবো না।’

ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইল তিনি বলেন, ‘আমদের সঙ্গে থাকা কয়েকজন আমাদেরকে তুলে নেওয়া দেখে ফেলেছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়াতে নিউজ হওয়ার ঘটনায় তারা তোপের মুখে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। না হলে হয়ত আজ আমরা পৃথিবীর আলো আর দেখতে পেতাম না।’

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকালের সংবাদ সম্মেলন শেষ করে চানখাঁরপুলের দিকে যাওয়ার সময় তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘তাদের কিছু তথ্য সহযোগিতার জন্য আনা হয়েছিল। তারা চলে গেছে। তাদের কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। তাদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।’ সবার কাছ থেকেই তথ্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় দফায় সংবাদ সম্মেলন শেষ সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারী তিন নেতার আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে ‘গুমহত্যার চেষ্টা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতারা বলেন, গুম করার জন্যই আমাদেরকে তুলে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু সারা দেশের ছাত্রসমাজ পাশে থাকায় তারা সফল হতে পারেনি।