★ সেভিয়া কখনই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
★ বায়ার্ন তাদের হোমগ্রাউন্ডে সর্বশেষ ২১ টি ম্যাচের ২০ টিতেই জয়ী হয়েছে। একটি ম্যাচ হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে (১-২ গোলে, এপ্রিল ২০১৭)
স্কোয়াড :
বায়ার্ন মিউনিখ (৪-১-৪-১)
সিভেন, কিমিচ, বোয়েটেং, ম্যাটস হোমেলস, রাফিনহা, মার্টিনেজ, রোবেন, মুলার, রদ্রিগেজ, রিবেরি এবং লেভানডেস্কি।
সাব : থিয়াগো, স্যান্ড্রো, নিকলাস, টম, বেরনাট, রুডি, টোলিসসো।
সেভিয়া (৪-২-৩-১)
ডেভিড, নাভাস, গ্যাব্রিয়েল, লেংলেট, সার্জিও, স্টিফেন, বানেগা, পাবলো, ভাজকুয়েজ, কোররেয়া এবং ওয়াসিম।
সাব : মোরিয়েল, স্যান্ড্রো, নালিতো, রিকো, ড্যানিয়েল, আরানা, পিজজারো।
গোলকিপিং : বায়ার্ন-সেভিয়ার ম্যাচে সেরা গোলকিপিং ছিলো সেভিয়ার গোলকিপার ডেভিডের। পুরো ম্যাচ জুড়ে তার পারফর্মেন্স ছিল চোখে পড়ার মত ৬ টি সেভ ১টি পাঞ্চ ও ১টি ক্লিয়ার করে দলের গোলবার পাহারা বেশ ভালো ভাবেই দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে বায়ার্নের গোলকিপার সিভেনের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি সেভিয়ার খেলোয়াড়রা। পুরো ম্যাচে ১০ বার শ্যুট নিয়েছে সেভিয়ার খেলোয়াড়রা, যার একটিও অন টার্গেট ছিলো না। পুরো ম্যাচ জুড়ে বেশ অলস সময় ই পার করেছেন বাভারিয়ান গোলকিপার।
ডিফেন্স : পুরো ম্যাচে দু দলের ডিফেন্ডাররাই যে ভালো পারফর্ম করেছে তা কোয়াটার ফাইনালের মত ম্যাচে গোল শূন্য ড্র দেখেই বুঝা যায়। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ দিয়ে দু দলের আক্রমণভাগই বেশ কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছিল দু দলের রক্ষণভাগকে। যেখানে ১০টি ট্যাকল এ্যাটেম্প করে ৫টি সফল ট্যাকল করতে সক্ষম হয় সেভিয়ার রক্ষণভাগ। অন্যদিকে ১৮টি ট্যাকল এ্যাটেম্প করে ১১টি সফল ট্যাকল করে বায়ার্নের রক্ষণভাগ। তাছাড়া বেশ কিছু ভালো গোলের চেষ্টা দুদলের ডিফেন্ডারাই রুখে দিয়েছে। উল্টো ম্যাচের শেষ সময়ে অযাচিত ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় সেভিয়ার মিডফিল্ডার কোরয়েরাকে।
মিডফিল্ডার : খেলোয়াড়ের মানের দিক থেকে বিচার করা হলে বায়ার্নের মিডফিল্ড সেভিয়ার চাইতে শক্তিশালী তবে আজ সেভিয়ার ডিফেন্সের সামনে তেমন ভালো পারফর্ম করতে পারেনি তারা। বেশিরভাগ আক্রমণ সাজানো হলেও সেভিয়ার ডিফেন্সের কাছে রুখে যাচ্ছিল। অন্যদিকে পাসিং ফুটবলে খেলার চেষ্টা করলেও সেভিয়ার মিডফিল্ডারররা ভালো কোনো আক্রমণ সাজাতে পারেনি। তবে পারফর্মের দিক থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে ছিলোনা সেভিয়ার মিডফিল্ডাররা।
অ্যাটাক : বায়ার্ন-সেভিয়ার ম্যাচে অ্যাটাকে ভালো খেলেছে বায়ার্ন তবে সেভিয়ার গোলকিপার ও ডিফেন্সের ভালো পারফর্মের জন্য শেষ পর্যন্ত সফলতা পায়নি। পুরো ম্যাচে ১৮টি গোলমুখী শ্যুট নিয়েছিল যার মাঝে ১০টি ছিল অফ টার্গেট শ্যুট, ৬টি অন টার্গেট শ্যুট ও ২টি শ্যুট ব্লক হয়েছে। অন্যদিকে সেভিয়ার আক্রমণভাগের পুরো ম্যাচে নেয়া ১০টি শ্যুটের একটিও অন টার্গেট শ্যুট ছিল না। যার ৮ টি অফ টার্গেট শ্যুট, ২টি ব্লক হয়েছিল এবং একটি উডওয়ার্ক হয়েছিল। ম্যাচে বায়ার্নের আক্রমণভাগের প্লেয়াররা সর্বোচ্চ ৫ বার অফ সাইডের ফাঁদে পড়েছিলো এবং সেভিয়ার প্লেয়াররা ১ বার।
বদলি খেলোয়াড়দের অবদান : ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই দু দলের ম্যানেজার দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য তিনটি করে সাব প্লেয়ার মাঠে নামান তবে তাদের কেউই দলের কাঙ্ক্ষিত সফলতা মানে গোলের সন্ধান এনে দিতে পারেনি।
সেট পিসের সুযোগ নিতে পারেনি বায়ার্ন : ম্যাচে ৯টি কর্নার কিক নেয়ার সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু তার একটি কিক থেকেও গোল আদায় করতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে সেভিয়া একটি কর্নার কিক পেয়েছিলো এবং তা থেকেও কোনো সুবিধা করতে পারেনি তারা।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : আরিয়েন রোবেন (বায়ার্ন মিউনিখ)
ফলাফল : আজকের ম্যাচটি ড্র হলেও কোয়াটার ফাইনালের প্রথম লেগে ২- ১ গোলে জয় পেয়েছিল বায়ার্ন। তাদের সেই জয়ের সুবাদে ২-১ গোলের ব্যবধানে এ ম্যাচে ড্র করেও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালে চলে গেল জার্মান পাড়ির এ ক্লাবটি।
সেমি ফাইনালে বায়ার্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল কিংবা রোমার বিপক্ষে।