গ্রীষ্ম সমাগত। ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা আম। পৃথিবীতে ছোট-বড় নানা আকৃতির প্রায় হাজার খানেক আমের প্রজাতি রয়েছে। পাঁকা আম আমাদের সবার প্রিয় হলেও কাঁচা আমের রয়েছে নানা উপকারিতা। এতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল ও পানির মতো পুষ্টিকর উপাদান। পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে ৪৪ ক্যালরি পটাশিয়াম, ৫০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। আচার তৈরিতে কাঁচা আম সর্বাধিক ব্যবহার করা হলেও এটির সস, চাটনি, ফলি, সত্ত্ব ও ভর্তা আমরা খেয়ে থাকি।
সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ হয়। কয়েকটুকরো কাঁচা আম লবণ ও মধুসহযোগে খেলে বদহজম ও কৌষ্ঠকাঠিণ্য দূর হয়। এছাড়াও কাঁচা আম স্কার্ভি, ডায়াবেটিস, ঘামাচি, সানস্ট্রোক, ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এতে আলফা ক্যারোটিন ও বিটা ক্যারোটিন থাকায় দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কাঁচা আম চিবানো হলে পিত্তথলির এসিড ও পিত্তরস বৃদ্ধি পায়; যার ফলে যকৃত সুস্থ থাকে এবং অন্ত্র পরিস্কার হয়। এটি দেহের কোষগুলোকে উজ্জীবিত করে এবং রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নতুন রক্ত কোষ গঠনেও ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন রকমের রক্তের সমস্যা যেমন– রক্তশূন্যতা, ব্লাড ক্যান্সার, রক্তক্ষরণের সমস্যা ও যক্ষ্মার সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে কাঁচা আম।
কাঁচা আমের আরেকটি বড় উপকারিতা হলো এটি গরমের শত্রু ঘামাচি ও অ্যাসিডিটি’র পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম।