★ ১৯৮৩-৮৪ সিজনের পর প্রায় ৩৪ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লীগে সেমি ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো রোমা।
★ বার্সেলোনার বিপক্ষে সর্বশেষ ৩ টি প্রতিযোগিতা মূলক ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন রোমার স্ট্রাইকার জেকো।
★ এর আগে ২০০১-০২ সিজনে চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছিলো রোমা।
স্কোয়াড
রোমা (ফরমেশন ৩-৫-২)
এলিসন, ফাজিও, মানোলাস, জেসুস, ফ্লোরেঞ্জি, নাইঙ্গোলান, ডি রস্সি, কেভিন, কলারভ, জেকো এবং প্যাট্রিক।
সাব: উন্ডের, স্টিপেন এল সারারী, লুকাসিজ, ব্রুনো, পেল্লোগ্রিনি, গঞ্জালোস, গেরসন।
বার্সেলোনা (ফরমেশন ৪-৪-২)
টের স্ট্রেগেন, পিকে, সেমেডু, উমিতি, আলাবা, রবার্তো, রিকিতিচ, বুস্কেটস, ইনিয়েস্তা, সুয়ারেজ এবং মেসি।
সাব: গোমেজ, ডেম্বেলে, আলকেসার, জাসপের, ভেরমায়েলেন, ডেনিশ, পৌলিনহো।
গোলকিপিং : আজকের ম্যাচে রোমার গোলকিপার এলিসন ভালো পারফর্ম করতে পারলেও বার্সেলোনার গোলকিপার টের স্ট্রেগেন নিস্প্রভ ছিলো। ম্যাচে দুই গোলকিপার ৩টি করে সেভ করলেও স্ট্রেগেনের ভুলের জন্য গোল হজম করতে হয় বার্সেলোনাকে। যদিও স্ট্রেগেনের বেশ কিছু ভালো ফিস্ট ছিলো তবে তা বার্সার পরাজয় ঠেকাতে পারেনি। অন্যদিকে রোমার ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এলিসন আজকের পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিলো দূর্দান্ত।
ডিফেন্স : বার্সেলোনা চারজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেললেও রোমা তিনজন ডিফেন্ডার নিয়ে তাদের তুলনায় বেশ ভালো খেলেছে।ম্যাচের শুরু থেকেই ছোটখাটো ভুল ছিলো বার্সার ডিফেন্সে। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় সেমেডু ডি বক্সের ভিতরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো যা পেনাল্টি থাকলেও রেফারি সাড়া দেননি। তাছাড়া তাদের ভুল মার্কিংয়ের জন্য সহজে রোমার আক্রমণভাগের প্লেয়াররা আক্রমণ সাজাতে পেরেছে এবং বাজে ট্যাকলের জন্য রোমাকে একটি পেনাল্টিও উপহার দিতে হয়েছে বার্সেলোনাকে।অন্যদিকে রোমার তিনজন ডিফেন্ডারই পুরো ম্যাচ জুড়ে পরিশ্রম করে খেলেছেন একই সাথে মেসিকে রেখে ছিলেন কড়া মার্কিং এ।যার ফলাফল স্বরূপ তারা আজকের জয়টি পেয়েছে।
মিডফিল্ডার : যদি প্লেয়ারের মান বিচার করা হয় তাহলে বার্সেলোনার মিডফিল্ড রোমার চাইতে কয়েকগুন বেশি শক্তিশালী ছিলো।তবে রোমার মাঠে যেনো ঠিকভাবে সাজিয়ে উঠতে পারেনি বার্সেলোনার মাঝমাঠ। পুরো ম্যাচ জুড়ে বেশিভাগ সময় তাদের কাছে বল দখলে থাকলেও মাঝ মাঠ থেকে ভালো কোনো আক্রমণ সাজাতে পারেনি অতিথিরা। ফলাফল ছিলো ৩-০ তে পরাজয়।অন্যদিকে রোমার এই ম্যাচে খেলার ধরন ছিলো মধ্য মাঠ কেন্দ্রীক। রোমার প্লেয়াররা ডি রস্সিকে কি-প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিটি আক্রমণ মাঠের একদম মাঝ বরাবর সাজানোর চেষ্টা করেছে। তাছাড়াও রোমার মাঝ মাঠের সবাই দারুন পারফর্ম করায় বার্সেলোনাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
অ্যাটাক : আক্রমণভাগের প্লেয়ারের দিক দিয়েও বার্সেলোনা এগিয়ে থাকলেও আজকের ম্যাচে তারা ছিলো নিস্প্রভ অন্যদিকে রোমার আক্রমনভাগে ছিলো এই ম্যাচে তৎপর। রোমার প্রথম গোলটি ডিফেন্ডারকে ফাঁকও দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গিয়ে আদায় করে নেয়। তাছাড়া ম্যাচের বাকি সময়টুকুতেও বেশ কিছু ভালো আক্রমণ সাজাতে সক্ষম ছিলো রোমার স্ট্রাইকার জেকো ও প্যাট্রিক।অন্যদিকে সুয়ারেজ মেসিরা রোমার রক্ষণভাগের মার্কিং এড়িয়ে তেমন কোনো আক্রমণ সাজাতে সক্ষম হয়নি যে কয়েকটি আক্রমণ সাজিয়েছিলো তাও প্রতিহত হয়েছিলো রোমার রক্ষণভাগ ও গোলকিপারের হাতে।
বদলি খেলোয়াড়দের ভূমিকা : রোমা ম্যাচে দুজন খেলোয়াড় বদলি করেছে। বদলি হিসেবে নামা উদ্দেলনে ও এল সারারী ম্যাচের বাকি সময়টুকু বেশ ভালো খেলেছেন। উন্ডের ম্যাচের শেষের দিকে কর্নার কিক করে তৃতীয় গোলে প্রত্যক্ষভাগে ভূমিকা রেখেছে। অন্যদিকে বার্সেলোনা ম্যাচের একদম শেষ মুহুর্তে দাদলি করেছিলো। বদলি হিসেবে গোমেজ, ডেম্বেলে ও আলকেসার নামলেও সেই স্বল্প সময়ে দলের জন্য তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেনি। এটা বলাই বাহুল্য রোমার বদলি খেলোয়াড় তাদের জয়ের পিছনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সেট পিসের সুযোগ নিয়েছে রোমা:চে সর্বোমোট ৯ টি কর্নার হয়েছে যার মাঝে ৬ টি রোমার পক্ষে ও ৩ টি বার্সেলোনার পক্ষে।বার্সেলোনা ৩ টি কর্নার থেকে গোলমুখী শ্যূট করতে না পারলেও রোমা তাদের ৬ টি কর্নারের ১ টিকে গোলে রূপান্তর করেছে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ:ড্যানিয়েল ডি রস্সি(রোমা) ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়নস লীগে অবস্থান : আজকের ম্যাচে ৩-০ তে জয় পাওয়া এগ্রিগেট গোলো ৪-৪ ব্যবধান নিয়েও সেমি ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো রোমা।অন্যদিকে প্রথম লেগে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়াটার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলো স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা।