ম্যানচেস্টার সিটি ১ – ২ লিভারপুল
গ্যাব্রিয়েল জেসুস ২’ সালাহ ৫৬’
ফিরমিনহো ৭৭’
স্কোয়াড :
ম্যানচেস্টার সিটি (৩-৪-৩)
এডারসন, ওয়াকার, ওতামেন্দি, লাপোর্তে, বার্নার্ড সিলভা, ডি ব্রুনি, ফার্নানন্দিনহো, সানে, স্টার্লিং, সিলভা, জেসুস
সাব : ডেভিড সিলভা-আগুয়েরো, বার্নার্ড সিলভা-গুনদোগান
লিভারপুল (৪-৩-৩)
কারিওস, রবার্টসন, ভ্যান ডাইক, লভেরন, অ্যালেকজান্ডার-আর্নোল্ড, মিলনার, উইজনালডাম, চেম্বারলিন, মানে, ফিরমিনহো, সালাহ
সাব : ফিরমিনহো-ক্লাভান, আলেকজান্ডার-আর্নোল্ড-ক্লেইন, সালাহ-ইংগস
গোলকিপিং : এডারসন এবং কারিওসের মধ্যে নিঃসন্দেহে এ ম্যাচে সেরা কারিওস। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মাথায়ই প্রথম গোল হজম করার পরেও বাকিটা সময় ছিলেন আস্থার প্রতীক হয়ে। সিটির আক্রমণভাগ যদিও তেমন কঠিন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি, কিন্তু যে কয়েকবারই চেষ্টা করেছে প্রত্যেকবারই তৎপর দেখা গিয়েছে রেডস গোলরক্ষককে। প্রথমার্ধ অনেকটাই অলস সময় কাটালেও প্রয়োজনের মুহুর্তে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি এডারসন। বিশেষ করে প্রথম গোলটি হয়েছে তার অমার্জনিয় ভুলেই।
রক্ষণ : প্রথমার্ধের শুরুতেই গোল হজম করার পরেও দু’দলের রক্ষণের মধ্যে নজর কেড়েছে রেডসদের রক্ষণই। বিশেষ করে ভ্যান ডাইক, লভেরন এবং তরুণ আলেকজান্ডার-আর্নোল্ডের সামনে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছিলো সিটির আক্রমণভাগ। বিশেষ করে নজর কেড়েছে রেডসদের অফসাইড ট্র্যাপ। যার ফাঁদে একাধিকবার পা দিয়ে আক্রমণের সুযোগ নষ্ট করেছেন সানে, স্টারলিংরা। অপর দিকে প্রথমার্ধে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি না হওয়া সিটির রক্ষণের ভঙ্গুর দশা দেখা গিয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। সালাহর প্রথম গোলটায় গোলরক্ষক এডাসনের চেয়ে কোনো অংশেই দায় কম না রক্ষণের। ওতামেন্দি এবং ওয়াকারের নৈপুণ্য ছিলো হতাশাজনক।
মধ্যমাঠ : এ জায়গাটাতে সিটির নৈপুণ্য ছিলো নজরকাড়া। ডি ব্রুনি এবং বার্নার্ড সিলভা ছিলেন চমৎকার। লিভারপুলের মধ্যমাঠকে এক প্রকার অচল রেখে একের পর এক জোগান দিয়ে গিয়েছেন বলের। কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। অপরদিকে লিভারপুলের মধ্যমাঠ ছিলো অনেকটাই নিষ্প্রভ। বিশেষ করে প্রথমার্ধে কাউকেই যেন খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না মাঠে। যার ফলে এক প্রকার অকেজোই হয়ে ছিলো লিভারপুলের ম্যাজিক থ্রি।
আক্রমণভাগ : প্রথমার্ধে সিটির কিছুটা তৎপরতা দেখা গেলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছে তাদের আক্রমণ। জেসুস শুরুতেই একটি গোল করলেও বাকি সময় ছিলেন, নিজের ছায়া হয়ে। তেমন কোনো হুমকি হয়ে উঠতে পারেননি স্টারলিংও। অপরদিকে প্রথমার্ধে একদমই সাদামাটা সময় কাটানো লিভারপুলের ফ্রন্ট থ্রি জ্বলে উঠেছে একদম ঠিক সময়ে। দারুণ পজিশন সেন্স, নিখুঁত ফিনিশিংয়ের চমৎকার প্রদর্শনীতে সিটিজেনদের বিদায় নিশ্চিত করে দিয়েছে সালাহ-ফিরমিনহোরা। মৌসুমজুড়েই রেডসদের মাতানো সালাহ করেছেন সুযোগ সন্ধানী এক গোল আর ফিরমিনহোরটা ছিলো চমৎকার ফিনিশিং।
সাবদের ভূমিকা : ডেভিড সিলভাকে তুলে নিয়ে নিজেদের আক্রমণভাগের মূল সেনা আগুয়েরো ম্যাচের ৬৬ তম মিনিটে মাঠে নামান সিটির কোচ গার্দিওলা। ২৪ মিনিট মাঠে থাকলেও লিভারপুলের বার লক্ষ্য করে একটি শ্যুটও নিতে পারেননি তিনি। ব্যর্থ ছিলেন বার্নার্ড সিলভার জায়গায় মাঠে নামা গুনদোগানও।
সেট পিস : ম্যাচে মোট নয়টি কর্ণার পেয়েছিলো সিটি। যার একটিও জালে ঢোকাতে সক্ষম হয়নি তারা। ফ্রি-কিকগুলোও কাজে আসেনি লিভারপুলের রক্ষণ দৃঢ়তায়।
কি পয়েন্ট : প্রথমার্ধের লিভারপুল এবং দ্বিতীয়ার্ধের লিভারপুলে ছিলো আসমান জামিন ফারাক। এ ক্ষেত্রে জার্গেন ক্লপের প্রেপ টক যে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে তা বলাই বাহুল্য।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ : কেভিন ডি ব্রুনি (ম্যানচেস্টার সিটি)
ফলাফল : ৫ – ১ এগ্রিগেটে সেমি-ফাইনালে লিভারপুল