সারাদেশে কেন্দ্রীয় কমিটির একক নেতৃত্বে কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশ অবরোধ করে রাখার কথা বলেন তারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন ও অপর একজন সংগঠক উজ্জ্বল মিয়া। এ সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।
তারা বলেন, আমরা যেসব ইস্যুগুলো নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি সেগুলো হচ্ছে, দেশের ৯৮ শতাংশ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের রাজাকারের বাচ্চা বলার পরেও মতিয়া চৌধুরীর ক্ষমা না চাওয়া, অর্থমন্ত্রীর আজকের সাংঘর্ষিক বক্তব্য, আটককৃতদের মুক্তি না দেয়া এবং অসুস্থদের চিকিৎসার দায়িত্ব না নেয়া।
শিক্ষার্থীরা এ সময় “ম তে মতিয়া, তুই রাজাকার! তুই রাজাকার”, “মতিয়ার চামড়া, তুলে নেবো আমরা” এসব স্লোগান দিচ্ছেন।
গতকাল জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে রাজাকারের বাচ্চারা বলে সম্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এ সময় তিনি কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সোমবার সংসদে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজধানীকেন্দ্রিক একটি এলিট শ্রেণি তৈরির চক্রান্ত চলছে। তারই মহড়া গতকাল আমরা দেখলাম।’
এমন বক্তব্যের ফলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মতিয়া চৌধুরীকে তার বক্তব্যের কারণে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অভূতপূর্ব ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল সরকারের সাথে আলোচনা করে এসে এক মাসের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিদের এই সিদ্ধান্ত না মনে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।
Posted by Joban on Tuesday, April 10, 2018