গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে একক মেয়র প্রার্থী দিতে যাচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট। গাজীপুরে জামায়াতের এক প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র কিনলেও বিএনপি’র পক্ষ থেকে জামায়াতকে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছে।
জোট নেতাদের মতে, “জামায়াত কাউন্সিলর পদ নিয়ে দরকষাকষিতে যেতেই মনোনয়ন ফরম কিনেছে। মেয়র পদের জন্য সমর্থন পাবে না জেনে জামায়াত নেতারা কাউন্সিলর পদের জন্যই জোর প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন।”
২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান জানান, “গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে আমরা একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু জামায়াতের একজন প্রার্থী ইতোমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন, তাই আমরা তাদের নেতাদের বলেছি নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে।”
আদালত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করায় গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর এস এম সানাউল্লাহ বুধবার “স্বতন্ত্র প্রার্থী” হিসেবে মনোয়ন কেনেন।
জামায়াত নেতারা বেশ কিছু কাউন্সিলর পদে দৃষ্টি রাখছেন এবং এ ব্যাপারে বিএনপি তাদেরকে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছেন তারা। যদিও কাগজে কলমে কাউন্সিলর পদটি নির্দলীয়, তবে ইতোমধ্যে দুই সিটিতে জামায়াত নেতারা কাউন্সিলর পদে দাঁড়াতে ২০টি ফর্ম কিনেছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ শুক্রবার এক বৈঠকে মিলিত হন এবং সেখানে জোটের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও শিঘ্রই নির্বাচনকেন্দ্রিক সমন্বয়ক কমিটি গঠনের কথাও জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জামায়াত নেতা জানান, জোটের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে।
এস এম সানাউল্লাহ ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এবং তিনি দলের সিদ্ধান্তেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।”
“আমাদের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের কৌশলগত ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের সাথে আলোচনা করছেন। আমরা আশাবাদী যে আমরা জোটের ব্যানারে নির্বাচনে যাবো এবং আমার প্রতি বিএনপি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করবে” বলছিলেন সানাউল্লাহ।
এই জামায়াত নেতা আরো জানান, “কমপক্ষে ১০ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদের জন্য লড়বেন। জামায়াতের ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ইতোমধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।”
খুলনা জামায়াতের কেউ এখন পর্যন্ত মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। যদিও কাউন্সিলর পদের জন্য জামায়াতের ১০ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
খুলনা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল শাহ আলম বলেন “আমরা জোটের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মেয়র পদের জন্য আমরা মাঠে নামব। এছাড়াও ১০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের জন্য আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।
আগামী ১৫মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। যথাক্রমে ৫৭টি ও ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন।