ঘটনা এক
ঢাকার একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসাদ আমান। ইদানীং তিনি ওই অফিসে কর্মরত নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গর্ভধারণ এবং সন্তান লালন-পালনের নানান সমস্যায় ছুটি চাওয়ায় খুব বিরক্ত। সম্প্রতি মার্কেটিং বিভাগের এক নারী কর্মকর্তার প্রাক-মাতৃকালীন ছ’মাসের ছুটির আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। সন্তান জন্মের আগের ছ’মাস ছুটি নেবেন, না পরের ছ’মাস নেবেন তা নিজেরাই ঠিক করতে পারেন না অনেক নারী। এদিকে পুরুষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও সমান সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবি করবেন অথবা হুট করে আগাম নোটিশে ছ’মাস বা এক বছরের ছুটি চেয়ে বসবেন! তাই আগামীতে নতুন জনবল নিয়োগের সময় ওই সমস্যা নিয়োগ কমিটিতে আলাপ করবেন বলে মনস্থির করেন তিনি।
ঘটনা দুই
মানিক মিয়া জরুরি ভিত্তিতে একটি রুমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। স্বামী-শ্বশুরকে নাকানি-চুবানি খাওয়ানোর পর একটা দান মেরে কাজটি করে দিয়েছেন এক গর্ভবতী। তার শ্বশুর বেসরকারি বড় একটি অফিসের উচ্চপদস্থ কর্তকর্তা বলে বেশ ঝামেলা করা হলেও ওই গর্ভবতীর জরুরি অবস্থার জন্য হসপিটালে মানিক মিয়াদের মতো অফিস কর্মচারীদের কাছে শেষ পর্যন্ত বাপ-ছেলে দুজনকেই হার মানতে হয়েছে।
ঘটনা তিন
পাশের বাসা থেকে গালাগাল আর মারের শব্দ শুনতে শুনতে রাতের শেষ সিগারেটটি ফুঁকছিল কালাম। বাড়ির কর্তা দিন-রাত নিজের বৌ আর ছেলের বৌকে যে কোনো ভুলের জন্য মারেন। এখন অবশ্য ছেলের বৌ এক গর্ভবতী হওয়ায় মারের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। তবে শ্বাশুড়ি প্রতিবেলা নিয়মিত গালি আর মার খান। এদিকে কালামের মতে, গর্ভবতী হলেও তাকে মার না খাওয়া থেকে বাদ দেয়া যাবে না। মেয়েরা মার ছাড়া সোজা থাকে না। তাই তার সাত মাসের গর্ভবতী বৌটাকে মারের ওপর রাখে। সিগারেটের শেষ ফুঁক দেয়ার পরই তার শরীরে রাতের নেশার ডাক পড়লো।
ঘটনা চার
অফিসে বসের সঙ্গে কথা বলে ছুটির ব্যাপারে কী করবে তা নিয়ে ভাবছিল আনিস। তার স্ত্রীর আট মাসের গর্ভবতী। গত কয়েক মাস তার মা গ্রাম থেকে এসে স্ত্রীকে দেখাশোনা করলেও জরুরি প্রয়োজনে গ্রামে ফিরতে হয়েছে তাকে। তার ঢাকার বাসায় এসে থাকার মতো আর কেউ নেই। গর্ভকালীন এই সময়ে তার স্ত্রীকে বাসায় একা রাখা ঠিক নয়। কিন্তু পুরুষ হয়ে এক্ষেত্রে কীভাবে ছুটি চাইবে তা ঠিক করতে পারছে না সে।
অনেকেই বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষ ও নারীর দায়িত্ব এবং অধিকারের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। অনেকে ভিন্ন লিঙ্গের আলাদা দায়িত্ব অনুযায়ী ভিন্ন অধিকারে জোর দিচ্ছেন। অনেকে আবার সমঅধিকার আন্দোলনের ব্যস্ততায় ভিন্ন লিঙ্গের আলাদা প্রয়োজনীয়তার কথাও ভুলে যাচ্ছেন। এসব সমস্য দেখা দেয় যখন কারো স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূ ও বোন গর্ভবতী হোন। এটি এমন এক পরিস্থিতি যে, আপনি সমঅধিকার আন্দোলনের সঙ্গে পক্ষে থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গগুলোর পার্থক্য আপনার মনে যেমন ফুটে ওঠে তেমনি ঘোর লিঙ্গবৈষম্যকারী হলেও নারী জাতির প্রতি আপনার শ্রদ্ধা-ভালোবাসার সৃষ্টি হতে পারে।
পুরুষ কারো স্ত্রীর গর্ভধারণের সংবাদ প্রথমবারের মতো শোনার পর তা প্রতিক্রিয়া সাধারণত দু’ধরনের হয়। এক. তিনি দায়িত্ববান স্বামীর মতো তার স্ত্রীর ডিম্বানু ব্যাংকে তার শৌর্যবীর্যের আমানত গচ্ছিত করার পরবর্তী ৯ থেকে ১০ মাস বহিরাগত হিসেবে পুরো প্রক্রিয়াটার দর্শক হয়ে থাকতে পারেন এবং দুই. সন্তান জন্মদানে নিজের জৈবিক দায়িত্ব পূরণের পরও স্ত্রীর পাশে থেকে গর্ভধারণের পুরো প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশীদার হওয়া।
যে কোনো বয়সী ও পেশার নারীর জন্য গর্ভধারণ খুব জটিল একটি বিষয়। সন্তান জন্মদানে অভিজ্ঞ কিংবা অনভিজ্ঞ হোন নিজের ভেতরে আরেকটি নিষ্পাপ প্রাণের স্পন্দনের ভালো লাগা আর ভয়ের অনুভূতি প্রতিবারই নতুন এবং একদম অন্য রকম হয়। পুরুষের জন্য পরিবারের নতুন সদস্যের ভার বহনের দায়িত্ব নেয়া আমাদের উপমহাদেশীয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের জন্যেখুব চিরাচরিত একটি প্রথা। তবে একুশ শতকের আধুনিক পুরুষ হিসেবে তাকে যে রাশভারী-গম্ভীর পূর্বপরুষদের নিয়ম মেনেই গুরুগম্ভীর স্বামী বা বাবা হতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা কোথাও নেই। আপনার স্ত্রী ও সন্তানের জীবন এবং আপনার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তা নিয়েও ভাবতে হবে যখন জানতে পারবেন আপনার স্ত্রী গর্ভধারণ করেছেন ও আপনি বাবা হতে যাচ্ছেন।
সহধর্মিণীর প্রথমবারের মতো গর্ভধারণের খবর বেশির ভাগ পুরুষদের জন্যই হতবুদ্ধিকর হতেই পারে। এ সময় কী করা উচিত বা কী করা দরকার এ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকেই এমন গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিজের জীবনসঙ্গিনীর পাশে দাঁড়ানোর বদলে নিজেরাই বিমূঢ়তায় ভেঙে পড়েন। যারা অভিজ্ঞ বাবা তাদেরা অনেক সময়ই স্ত্রীর দ্বিতীয় কিংবা ততোধিক গর্ভধারণের সময় ব্যাপারটিকে ‘এটি কিছুই নয়’ ভেবে উড়িয়ে দেন। অবশ্যই এটি ভাবা উচিত নয়। কেননা প্রতিবার গর্ভধারণের পর একই অবস্থা বিরাজ করে। তাই কীভাবে আপনি গর্ভধারণের সময়ে আপনার স্ত্রীর একজন বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন, কীভাবে একজন নতুন অথবা পুরনো বাবা হিসেবে হবু সন্তানের জন্য তার মায়ের গর্ভে থাকা ৯টি মাস এবং তার পৃথিবীতে আগমনকে আনন্দপূর্ণ করে তুলতে পারেন এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো–
ভরসা দিন, ইতিবাচক থাকুন
স্ত্রীর গর্ভধারণের সংবাদ পেয়ে ইতিবাচক সাড়া দিন। আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ সুপরিকল্পিত হোক বা হঠাৎ, এমনকি আপনাদের দু’জনের জন্যই যদি তা কোনো কারণে ‘অঘটন’ হয়ে থাকে তাহলেও ধীরস্থিরভাবে ইতিবাচক সাড়া দিন। কারণ আপনার স্ত্রী যদি বাহ্যত খুশি দেখান তাহলেও তিনি ভেতরে ভেতরে খুবই দ্বিধা, ভয় ও উৎকণ্ঠায় ভুগছেন। কখনোই এমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না যাতে তার মনে হয় আপনি খুবই অসন্তুষ্ট। আপনাকে অবশ্যই ওই মুহূর্তে তাকে এই ভরসা দিতে হবে যে, পরবর্তী পদক্ষেপ যাই হোক, আপনি সব সময় তার পাশে আছেন। আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক খুব সুস্থ ও মধুর হলেও ওই মুহূর্তে ওই আশ্বাস দিতে ভুলবেন না।
টুকিটাকি, অথচ অত্যন্ত জরুরি
গর্ভধারণ বিষয়ক কোনো বই বা ছোটখানো হ্যান্ডবুক পড়ে ফেলতে পারেন। এতে আপনার প্রথমবার বাবা হতে যাওয়ার আগে আপনার সন্তান ও তার মায়ের এই সুন্দর সময় সম্পর্কে নিজের দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে ধারণা হবে আপনার। আর যদি আপনার এর আগেও বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে ওই ধাপটা আপনার প্রথমবারেই করে ফেলার কথা। তবে জানার শেষ আসলে নেই। এ বিষয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমেও জেনে নিতে পারে।
অফিস ও কর্মস্থলে আগে থেকেই ছুটির আবেদনে সঠিক পরিকল্পনা করুন। আমাদের দেশে সরকারি, বেসরকারি বা কর্পোরেট অফিসগুলোয় গর্ভকালীন ছুটির নিয়ম থাকলেও অনেক সময়ই তা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পড়তে হয় হবু মায়েদের। এ নিয়ে আগেই পরিকল্পনা করুন এবং আপনার ও স্ত্রীর কর্মস্থানে নিয়ম অনুযায়ী ছুটির আবেদনপত্র জমা দিয়ে দিন।
চিকিৎসায় তৎপর থাকা চাই
চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা আগে থেকেই করুন। সব ওষুধ, যে কোনো শারীরিক ব্যায়াম, আগের যে কোনো ওষুধ-শরীর চর্চা চালিয়ে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া নিশ্চিত করুন। আপনার স্ত্রী ওষুধ খাওয়া, চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, খাবার খাওয়া, বিশ্রাম নেয়ার নিয়ম ঠিকমতো মেনে চলছেন কি না এ ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। এতে আপনার প্রতি স্ত্রীর আস্থা যেমন অটুট থাকবে তেমনি আপনারও কি হচ্ছে না হচ্ছে এ বিষয়ে পুরো ধারণা থাকবে। সন্তান জন্মদানের সম্ভাব্য তারিখ জেনে গেলে কাছের কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতালে আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখতে ভুলবেন না।
গর্ভাবস্থায় ভায়োলেন্স থেকে দূরে রাখুন
গর্ভাবস্থায় আপনার স্ত্রীকে যে কোনো ভায়োলেন্স থেকে দূরে রাখুন। তাকে যে কোনো কটু কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। তার গায়ে তো হাত তুলবেনই না এবং তার সামনে যেন কোনো প্রকার গালাগাল, মারামারি, হিংস্র কোনো কাণ্ড না ঘটে তা নিশ্চিত করুন। বাস্তব জীবন কিংবা বিনোদনে জন্যই হোক, অতি উদ্দীপক বা স্নায়ুবিক কিছু দেখা মা ও শিশু দু’জনের জন্যই খারাপ। গর্বকালীন শারীরিকভাবে মিলিত হওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনি যে কারো কাছ থেকেই অভয়বাণী শুনুন না কেন, এ সময়ে শারীরিক মিলন গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।
সাহস দিন
স্ত্রীর দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করুন। হরমোনাল বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে গর্ভকালীন বেশির ভাগ নারীই হতাশা, উদাসীনতা, বিসাদগ্রস্ততাসহ নানান সমস্যায় ভেগেন। অনেকে আবার বিনা কারণেই খিটখিটে মেজাজ দেখান। অনেকের খুঁতখুঁতে স্বভাবের প্রকাশ ঘটে। এছাড়া অনেকে অকারণেই ভয় পান। এমন সময় তার সমস্যাগুলো যত ছোটই হোক, অযৌক্তিক ও হাস্যকরই হোক না কেন, মনোযোগ দিয়ে তার সব কথা শুনুন এবং কথার মাধ্যমে তাকে ভয়মুক্ত করুন। তাকে সাহস দিন, আশ্বাস দিন। এই সময়ে আপনার সঙ্গ ও সময় তার খুব প্রয়োজন। তাকে এই দুটো জিনিস ঠিকমতো দিন।
ধৈর্য্য ধরুন
সন্তানসম্ভবা হবু মায়েরা অনেক সময় কিছুটা অস্বাভিকতা দেখিয়ে থাকেন, কিছুটা বিরক্ত হতেই পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল স্বামী ও হবু বাবা হিসেবে মাথা ঠাণ্ডা রাখার দায়িত্ব আপনারই। হরমোনের নানান পরিবর্তন ও মানসিক চাপের কারণে গর্ভবতীদের এমন আচরণ আপনার বিরক্তির কারণ হলেও এগুলো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই স্ত্রীর পাশে থাকুন এবং তাকে হাশিখুশি রাখার চেষ্টা করুন।
স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে নিন
গর্ভধারণের পর আপনার স্ত্রীর শরীর ও চেহারায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। ওই পরিবর্তনের কারণে তাকে ভর্ৎসনা না করে বরং নিজেকে তার স্থানে চিন্তা করুন। আপনাদের দু’জনের সন্তানকে পৃথিবীতে আনার জন্যই নিজের প্রিয় শরীরে এত বোঝা বইছেন তিনি। এ ব্যাপারটা কখনোই ভুলবেন না।
স্ত্রীকে হাসি-খুশি রাখুন। ছোট-বড় যে কোনো চেষ্টায় তাকে হাসান। নিজে গর্ভবতী হওয়ার অভিনয় করতে পারেন। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। আপনাদের ভালোবাসার সন্তানকে পৃথিবীতে আনার জন্য যে কষ্ট তিনি করছেন তার প্রশংসা করুন। তার ঘাড় ব্যথা, পিঠ ব্যথা, ‘ভালো লাগে না’র সময় তার হাত দুটি নিজের হাতে তুলে নিন এবং সময় করে ব্যথার জায়গায় একটু মালিশ করে দিন।
একান্ত সময়টা খুবই প্রয়োজন
‘সন্তান ছেলে হতে হবে’, ‘ছেলের গায়ের রঙ গোরা হতে হবে’– এসব থেকে স্ত্রীকে দূরে রাখবেন। পরিবারের সবার সান্নিধ্যে কাটানো সময়ের পাশাপাশি হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও নিজে প্রতিদিন শুধু আপনাদের দু’জনের জন্য একান্তে কিছুটা সময় করে নেবেন।
সন্তান জন্মের পূর্বমুহূর্তের ‘লেবার পেইন’-এর সময় স্ত্রীর পাশে থাকুন। তার কান্না, চিৎকার তাকে সান্ত্বনা দিন, অভয় দিন, সাহস দিন। আপনার সন্তান পৃথিবীতে আসতে যাচ্ছে এবং আপনি বাবা হতে যাচ্ছেন– এই ভয় বা উত্তেজনায় সন্তানের মায়ের সামনে অনুচিত কোনো আচরণ করে মায়ের লেবার পেইনের মাত্রা বাড়াবেন না।
বাবাকেও গর্ভধারী হতে হয়!
বাবা হওয়া অনেক বড় একটি ব্যাপার। স্ত্রীর জরায়ুতে শুক্রাণুর সরবরাহ আর সন্তানের স্কুলের খরচ দিলেই তা হওয়া যায় না। সত্যি বলতে কি, সন্তানধারণ শুধু কোনো হবু মা করেন না, হবু বাবাকেও ৯ মাসের জন্য তার হবু সন্তানকে মনে ধারণ করতে হয়। এ সময় আপনার স্ত্রীর পাশে যত থাকবেন ততই মা তথা নারীরা এই বিশেষ সময়ে কতটা দুর্বল, নাটুকে (কিংবা কতটা শক্তিশালী ও ধৈর্যশীল) তা বুঝতে পারবেন। ধৈর্য হারাবেন না। আপনার চেয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করছেন আপনার স্ত্রী।
আদিকালের বাপ-চাচাদের মতো অন্ধ হয়ে থাকবেন না। চোখ খুলে আপনার সন্তানের একটু একটু করে বেড়ে ওঠার সাক্ষী হন। আপনার স্ত্রীর মা হয়ে ওঠার ধাপগুলো স্মৃতিতে ধারণ করুন। সত্যিকারের একজন ‘বাবা’ হয়ে উঠুন– একজন ‘পুরুষালি’ বাবা!