রিভিউ সিস্টেমে কার লাভ ; আম্পায়ার নাকি ক্রিকেটারের

রিভিউ সিস্টেমে কার লাভ ; আম্পায়ার নাকি ক্রিকেটারের

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমস, সংক্ষেপে বলা হয় ডিআরএস; খেলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করে তোলার উদ্দেশ্যেই ২০০৮ সালে অভিষেক ঘটে ডিআরএস পদ্ধতির। পদ্ধতিটির পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। ভারতের অবস্থান এখনো এই প্রযুক্তির বিপক্ষে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড সফরে তারা ডিআরএস ব্যবহার করতে অনাগ্রহ জানায়। এরপর ২০১৬ সালের নভেম্বরে ইংল্যান্ড ভারত সফরে আসলে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড ডিআরএস ব্যবহার করতে না চাইলেও সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমর্থন এবং হক-আই প্রযুক্তিতে সংস্কার আনার পর ভারত পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে রাজি হয়।

ক্রিকেট জগতের প্রায় প্রতিটা সিরিজে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ঘরানাতেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কিন্ত অনেক সাধারণ দর্শকই বুঝে উঠতে পারেন না ডিআরএস এর নিয়মগুলো আসলে কী। এটা কতটা নির্ভুল কিংবা আদৌ ডিআরএস আসলে ত্রুটিমুক্ত কিনা। ডিআরএস নিয়ে বিভ্রান্তি কমাতে এই পদ্ধতির নিয়ম নিয়ে লেখাটার অবতারণা করা হল। ডিআরএস মূলত তিনটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে–

১. দ্য আম্পায়ারস্ কল

ডিআরএস নিয়ে সবচেয়ে বিভ্রান্তি এবং প্রশ্ন সম্ভবত এই নিয়মটা নিয়ে। এই আম্পায়ারস্ কল নিয়মটাকে বলা যেতে পারে ডিআরএস এর প্রাণ। একই প্রেক্ষাপটে হয়তো একবার আম্পায়ারস্ কলে আউট হবে, আবার হতে পারে নট আউট। আর এখানেই বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ দর্শকদের। বিশেষ করে লেগ বিফোর উইকেটের ক্ষেত্রে প্রায় সময়ই দেখা যায়, আম্পায়ারস্ কলের কারণে মাঠের আম্পায়রের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে, রিভিউ নেওয়া সত্ত্বেও। কিন্ত কেন? আসুন দেখে নেয়া যাক তাহলে–

আম্পায়ারস্ কলের নিয়ম

ডিআরএসের মাধ্যমে একজন খেলোয়াড়, আম্পায়ারের দেয়া আউট অথবা নট-আউট সিদ্ধান্তের দ্বিতীয়বার বিবেচনার জন্যে অনুরোধ করতে পারে। একটা লেগ বিফোর উইকেট এর রিভিউতে ডিআরএস পদ্ধতি তিনটা বিষয় মাথায় রাখে–

  • বল কোথায় পিচ করেছে
  • বল প্যাডে আঘাত করার ইমপ্যাক্ট
  • বলটি উইকেটে আঘাত করবে কিনা

প্রেক্ষাপট ১

যদি আম্পায়ারের নট-আউটের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নেয়া হয় তাহলে সেটা আউটে পরিণত হবে যদি এই তিনটা শর্ত পূরণ করতে পারে–

  • ডেলিভারিটি বৈধ হয়েছে কিনা
  • বল পিচ হওয়ার সময় অর্ধেকের বেশি অংশ ইম্প্যাক্ট-লাইনে পড়েছে কিনা দেখা হবে (পিচের মাঝে যেই নীল বা লাল ইম্প্যাক্টের অংশ দেখানো হয়) অথবা ইম্প্যাক্ট-লাইনের বাইরে অফসাইডে পড়েছে কিনা
  • এই ধাপে দেখা হবে বল প্যাডে আঘাত করার সময় ইম্প্যাক্ট-লাইনে ছিল কিনা এবং বল শেষে উইকেটে আঘাত করবে কিনা
এলবিডব্লিউ এর ক্ষেত্রে নীল দাগ চিহ্নিত ইম্প্যাক্ট জোন। Image: Fox Sports

প্রেক্ষাপট ২

যদি একটা আউটের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নেওয়া হয় তাহলে সিদ্ধান্তটিকে নট-আউটে পরিবর্তন করা যাবে যদি নিচের শর্ত তিনটা পূরণ করে–

  • ডেলিভারিটি বৈধ হয়েছে কিনা
  • বল পিচ করার সময় যদি বলের অর্ধেকের বেশি অংশ লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে পড়ে
  • বল প্যাডে অথবা উইকেটে আঘাত করার সময় বলের কোনো অংশ যদি ইম্প্যাক্ট জোনে না থাকে তাহলে সেটা আউট হবে না

উল্লেখিত প্রথম প্রেক্ষাপট থেকে দেখা যায়, ‘দ্যা আম্পায়ারস্ কল’ নির্ভর করে বল কোথায় পিচ করলো এবং বল পিচের ইম্প্যাক্টের নির্ধারিত অংশে পড়েছে কিনা তার উপর।

উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো নট-আউটের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করতে ডিআরএসের মাধ্যমে, তাহলে দেখতে হবে বল উল্লেখিত সব শর্তগুলো পূরণ করে উইকেটে আঘাত করে কিনা। যদি আঘাত করে তাহলে সেটা আউট হবে। আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য রাখতে হবে বল উইকেটে আঘাত করার সময় বলের অর্ধেকের বেশি অংশ উইকেটে আঘাত করতে হবে। অর্ধকের কম অংশ আঘাত করলে সেটা আম্পায়ারস্ কল অর্থাৎ নট-আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

ডিআরএসের নতুন নিয়ম মোতাবেক বলের অর্ধেকেরও বেশি অংশ উইকেটে আঘাত করতে হবে

যদি এই একই প্রেক্ষাপটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত হয় ‘আউট’ তাহলে আউটের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করে ‘নট-আউট’ হবে তখনই যখন বল ইম্প্যাক্টের বাকি সব শর্ত পূরণ করেও উইকেটে আঘাত করবে না। কিন্ত এই ক্ষেত্রে বলের যেকোনো অংশ যদি উইকেটে আঘাত করে, অর্ধেকের কম হলেও সেক্ষেত্রে আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এখানেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়। প্রথম প্রেক্ষাপটে যেখানে দেখা গেল উইকেটে বলের অর্ধেকের বেশি অংশ আঘাত করলে তবেই আউট হবে কিন্ত পরবর্তী প্রেক্ষাপটে দেখা যায় বলের কোনো অংশ উইকেটে আঘাত করার সম্ভাবনা থাকলেই আউট হবে এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

উপরোক্ত ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে ব্যাটসম্যান, কারণ আম্পায়ার যদি নট আউটের সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে বলের যেকোনো একটা অংশ উইকেটে আঘাত করলেই হবে না, অর্ধেকের বেশি অংশ আঘাত করতে হবে। দুইটা একই প্রেক্ষাপটে ভিন্ন নিয়ম অবশ্যই বিভ্রান্তিকর। এই বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্যে একই নিয়ম প্রবর্তন করা উচিৎ, কেননা এতে ফিল্ডিং দল এবং ব্যাটিং দল দুই-ই সমান ভাবে লাভবান হবে।

তাছাড়া ডিআরএসের প্রবর্তনের পর মাঠের আম্পায়ারদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতাও কমে গেছে। থার্ড আম্পায়ার যা সিদ্ধান্ত দেয় সেটাই মেনে নিতে হয়। আম্পায়ারগণ সম্পূর্ণই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছেন। এমন প্রযুক্তি নির্ভরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আরেকটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে একটা সময় ছিল, যখন আম্পায়ার কোনো সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তিতে থাকলে বা মীমাংসায় পৌছাতে না পারলে তখন সেই সিদ্ধান্ত ব্যাটসম্যানের পক্ষে যেত। কিন্ত এখন আর তা হয় না। এখন বরং আম্পায়ারের কোনো সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ গ্রহণ করলে থার্ড আম্পায়ার কোনো মীমাংসায় পৌছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের পক্ষে যাবে। এক্ষেত্রে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বেঙ্গালুরু টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভিরাট কোহলির আউটের সিদ্ধান্তের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। যেখানে থার্ড আম্পায়ার কোনো মীমাংসায় পৌছাতে না পারায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।

২০১৭ সালে বেঙ্গালুরু টেস্টে ডিআরএস ব্যবহারের পরেও বহাল থাকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই

পিচিং আউটসাইড লেগ

লেগ বিফোর উইকেটের অন্যতম বিভ্রান্তিকর নিয়ম পিচিং আউটসাইড লেগ। বল পিচ করার সময় তা যদি লেগ স্ট্যাম্পের সামান্য বাইরেও পিচ করে তাহলে আর লেগ বিফোরে আউট হওয়ার সুযোগ থাকে না। এই নিয়মের বলি হয় বেশিরভাগ সময় লেগস্পিনাররা। কারণ তাদের বল আউট সাইড লেগ পিচ করে উইকেটে আঘাত করলেও লেগ বিফোরে আউট হয় না। এছাড়া একই কারণে ডেল স্টেইনের মত বোলারও বামহাতি ব্যাটসম্যানদের সহজে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলতে পারে না, যেমনিভাবে মোস্তাফিজের পক্ষে কঠিন হবে ডানহাতিদের লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলতে। কিন্ত এই নিয়মের পেছনে কয়েকটা কারণও রয়েছে–

  • ব্যাটিং করার সময় লেগ সাইডের বল খেলার ক্ষেত্রে ব্যাটের আগে ব্যাটসম্যানদের পা চলে আসে তাই পায়ে বল লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বোলারদের জন্যে পায়ে লাগানোটা সহজ কাজ হয়ে যায়, কিন্ত অফ সাইডের বল খেলার জন্যে পা আগে চলে আসে না। তাই নিয়মটা করা হয় যেন ব্যাটসম্যানদের সুযোগ থাকে লেগ সাইডের বল খেলার।
  • একাধারে লেগ স্ট্যাম্পে বল করে যাওয়াকে ক্রিকেটীয় ভাষায় ‘নেগেটিভ বোলিং’ বলা হয়, কারণ ব্যাটসম্যানদের কোনঠাসা করার জন্যে লেগসাইডে শক্তিশালী ফিল্ডিং রেখে এই লাইনে বল করা হয়ে থাকে। তাই লেগ বিফোরের ক্ষেত্রে পিচিং আউটসাইড লেগ এর নিয়মকে এক্ষেত্রে বৈধ বলা যেতে পারে।
লেগস্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করার কারণে যে সিদ্ধান্তগুলো রিভিউ হয় না। Image: Sky Sports

 

২. রিভিউর সংখ্যা

একটা দলের জন্য সংরক্ষিত রিভিউর সংখ্যা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে, উপমহাদেশীয় পরিবেশে বোল্ড আউটের তুলনায় কট বিহাইন্ড বা লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন তুলনামূলক বেশি হয়। এমন পরিবেশে রিভিউর বেশি প্রয়োজন হয়।

আইসিসির বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটের টেস্ট ফরম্যাটে এক ইনিংসে একটি দলের জন্যে দুটি করে রিভিউ সংরক্ষিত থাকে এবং টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে থাকে ইনিংস প্রতি মাত্র একটি রিভিউ। সংরক্ষিত রিভিউ অসফল হওয়ার পর আর রিভিউ নেয়া যায় না। কিন্ত যদি প্রতিটা রিভিউ সফল হয় তাহলে অবশ্য রিভিউর সংখ্যা অসীম, কারণ মোট কয়টা রিভিউ নেয়া যাবে এটার বাঁধাধরা নিয়ম নাই। যেই পর্যন্ত রিভিউ অসফল না হবে সেই পর্যন্ত রিভিউ নেয়া যাবে। যদিও বেশিরভাগ দলেরই রিভিউতে অসফলতার হার বেশি। তবুও একটা নির্দিষ্ট সংখ্যায় রিভিউ নেয়ার সুযোগ থাকা উচিৎ।

এছাড়া আম্পায়াররাও ভুলের উর্ধ্বে নন, তাই আম্পায়ারদেরও ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। একারণে আম্পায়ারদের জন্যে সব সিদ্ধান্ত নির্ভুল করাও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়। বিশেষ করে টার্নিং এবং অপ্রত্যাশিত বাউন্সি পিচে। বলা যায়, টেস্ট খেলার ক্ষেত্রে টেস্টের এক ইনিংসে দুইটা বা ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টির ক্ষেত্রে মাত্র একটা সংরক্ষিত রিভিউ যথেষ্ট নাও হতে পারে।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে রিভিউয়ের ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা হয় বলটি বৈধ হয়েছে কিনা। অর্থাৎ বলের ডেলিভারি নিয়ম সম্মত হয়েছে কিনা, অথবা নো বল হয়েছে কিনা। অনেক ক্ষেত্রে আম্পায়ারের নট আউটের বিপক্ষে রিভিউ নেয়া হলে নো বল হওয়ার কারণে কোনো আউট হওয়ার আর সুযোগ থাকে না এবং ফিল্ডিং দলের একটা রিভিউ নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে একটা বল সঠিক হয়েছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব মাঠের আম্পায়ারের। কিন্ত মাঠের আম্পায়ার যেহেতু তা ধরতে পারেননি এবং রিভিউতে তা ধরা পড়ায় নট আউটের সিদ্ধান্ত আসবে যার ফলে বোলিং দলের একটা রিভিউ অসফল হবে। এখানে আম্পায়ারের ভুলের খেসারত দিবে দল। কারণ একটা রিভিউ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট। আর যেখানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে রিভিউ থাকেই একটা সেক্ষেত্রে এটা অপূরণীয় ক্ষতিই বলা চলে। তাই এই বিষয়টা আইসিসির বিবেচনা করা উচিৎ।

 

৩. প্রযুক্তির ব্যবহার

ডিআরএস পদ্ধতির সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান প্রযুক্তি এবং ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের। যেমন: হক-আই, স্নিকো, আলট্রা-এইজ, হটস্পট ইত্যাদি। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার হচ্ছে ডিআরএসের মেরুদণ্ড।

আইসিসি কর্তৃক কোনো স্পষ্ট নিয়ম না থাকলেও থার্ড আম্পায়ারের কাভারেজের জন্যে কোথায় কোথায় ক্যামেরা থাকতে হবে এর একটা নিয়ম রয়েছে। কিন্ত কী কী প্রযুক্তির ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে এর কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নাই। যেমন– বল ট্র্যাকিং, স্নিকো মিটার, আল্ট্রা-এইজ ইত্যাদির সম্মিলিত ব্যবহার করা হয়ে থাকে ডিআরএস এর জন্যে। যদিও আইসিসি থেকে নির্দিষ্ট করা আছে, কী কী প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে তবে কোনো একটি প্রযুক্তিকে নির্দিষ্ট করে বলা নেই। বর্তমানে হটস্পট প্রযুক্তি সবচেয়ে জনপ্রিয় হলেও ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়া অন্য কোথাও এটা ব্যবহার করা হয় না ব্যয়বহুলতার কারণে। এমনকি ভারত ক্রিকেট বোর্ডও হটস্পট প্রযুক্তি ব্যবহার করে না।

হটস্পট প্রযুক্তিতে দেখা যাচ্ছে বলটি ঠিক কোথায় আঘাত করেছে

এইক্ষেত্রে আইসিসির নিয়ম করা উচিৎ সকল ক্রিকেট বোর্ডের জন্যে একই প্রযুক্তির ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ হটস্পট প্রযুক্তির কথা বলা যেতে পারে কারণ লেগ বিফোর উইকেট, ব্যাট-প্যাড এবং ক্যাচের ক্লোজ সিদ্ধান্তের জন্যে হটস্পট সবচেয়ে ফলপ্রসূ ব্যবস্থা হতে পারে। এবং যেহেতু এই প্রযুক্তির মূল্য বেশি সেক্ষেত্রে আইসিসির হস্তক্ষেপ থাকা উচিৎ একে সুলভ করার জন্যে।

এই লেখাটার উদ্দেশ্য ডিআরএসের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া না। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই যে ডিআরএসের উদ্দেশ্য ক্রিকেটকে ত্রুটিমুক্ত করা। কিন্ত একথাও অনস্বীকার্য যে পদ্ধতিটির সংস্কার এবং নতুন কিছু শক্তিশালী নিয়ম প্রত্যয়ণ করা জরুরি। আইসিসির উচিৎ ডিআরএসকে সহজ করা এবং এর সংস্কারের জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।