মুস্তানসিরিয়া মাদ্রাসা। আব্বাসিয় খলিফা মুস্তানসির ১২২৭ সালে মাদ্রাসাটি নির্মাণ করেন। উচ্চতর স্থায়ী গবেষণার জন্য ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে এটিই সর্বপ্রাচীন। উপমহাদেশে যা কওমি মাদ্রাসা নামে পরিচিত, আদতে এটাই এর ভিত্তি প্রতিষ্ঠান। ১২৩৫ সালে মাদ্রাসার সদর হলে জল-চালিত একটা এলার্ম স্থাপন করা হয়, যা নামাজের সময় বেজে উঠত।
প্রতিষ্ঠাকালে খলিফা মাদ্রাসাটির গ্রন্থাগারে ৮০ হাজার ভলিউম কিতাব দান করেন। পরবর্তীতে নানা ব্যাক্তি অনুদানে তা ৪ লাখ ভলিউমে পৌঁছায়। যা ছিল ইদানীংকালের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সংগ্রহ। চার মাজহাবের জন্য চারটি পৃথক হল ছিল। প্রত্যেক ছাত্র মাসিক বৃত্তি হিসেবে স্বর্ণমুদ্রা পেতেন। সে সময়ও ফিরিঙ্গি ইউরোপিয়ানদের এই মাদ্রাসা নিয়ে যথেষ্ট ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল। প্রতিষ্ঠার কিছু কাল পরেই ১২৫৮ সালে মাদ্রাসাটি যুদ্ধাক্রান্ত হয়।
সেসব অব্যাহত ছিল। এমনকি কখনো কখনো সুবিধাভোগী মুসলিমদেরও ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বশেষ ধাক্কা ছিল, ইরাকে এক যুগের ব্রিটিশ শাসনকালে, ১৯২৭ সালে বড়ো বদল ঘটানো হয়। শেষতক পরিস্থিতি দাঁড়ায় এই যে, প্রতিষ্ঠানটি এখন পশ্চিমা ধাঁচের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কিছুই নয়। বর্তমান নাম, মুস্তানসিরিয়া ইউনিভার্সিটি।



