আফরিন শহর তুরস্কের দখলে : এরদোগান

আফরিন শহর তুরস্কের দখলে : এরদোগান

অবশেষে সিরিয়ার আফরিন শহরের দখল নিয়েছে তুরস্কের স্বশস্ত্র বাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির যোদ্ধারা। তুরস্কের সেনাবাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) যৌথভাবে সিরিয়ার আফরিন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় যা এর আগে কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান এমন দাবি করেছেন। খবর আলজাজিরার।

আজকের তুরস্কের সেনাবাহিনী এক টুইট বার্তায় দাবি করেন, ‘তুরস্কের সেনাবাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি আফরিন শহরের কেন্দ্রস্থলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান ঘোষণা দেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় তুরস্ক সমর্থিত বাহিনী শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত সিটি সেন্টারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

তুরস্কের সেনাবাহিনী একটি ভিডিও শেয়ার করে যেখানে দেখা গেছে, আফরিন-এর সিটি সেন্টারে তুরস্কের পতাকা প্রদর্শিত হচ্ছে।

তুরস্ক সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মি কর্তৃক শেয়ারকৃত আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা আফরিনের আবাসিক এলাকাগুরোয় টহল দিচ্ছে ও বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, আফরিন থেকে ইতোমধ্যেই প্রায় দেড় লাখ নাগরিক পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

তুরস্ক ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি গত জানুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আফরিনে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন (ওয়াইপিজি) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যৌথ অপারেশনের ঘোষণা দেয়।

তুরস্ক কুর্দি ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টি (পিএইচডি) ও এর সামরিক শাখা কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন (ওয়াইপিজি)-কে ‘সন্ত্রাসী গ্রুপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে।

সিরিয়ার যুদ্ধ অবস্থার সুযোগে ওয়াইপিজি সিরিয়ার আফরিন শহরসহ উত্তর অঞ্চলের একটি বড় অংশ দখলে নিয়ে নিজেদের মতো করে শাসন করে আসছিল। আফরিন অপারেশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে।