শেষ বেলায় লাগাম ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা

শেষ বেলায় লাগাম ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা

শ্রীলংকার স্বাধীনতার সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত নিদাহাস ট্রফির অলিখিত সেমি ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। প্রেমাদাসায় অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দলে ফেরাটা। আবু হায়দার রনির বদলে সাকিব; এই একটি পরিবর্তন নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। একাদশে একটি মুখের বদল হলেও বদলায়নি বাংলাদেশের টস ভাগ্য। টসে জিতে সাকিবও নিয়েছেন বোলিং এর সিদ্ধান্ত। বোলারদের আটোসাটো বোলিং এর হাসফাস করা লঙ্কাকে উদ্ধার করেছেন সিরিজ জুড়েই ফর্মে থাকা কুশল পেরেরা এবং থিসারা পেরেরা। দু জনের ৯৭ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত লঙ্কা পায় ১৫৯ রানের লড়াই করার মতো পুজি।

পাওয়ার প্লেতেই পথহারা লঙ্কা

প্রথম ওভারেই বোলিং এসে সাকিব যেন বুঝিয়ে দিলেন এতো দিন ঠিক কি মিস করছিলো বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে দিলেন মাত্র তিন রান। পরের ওভারে এসে চলতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার রুবেল রানের চাকাটা আলগা করে দিলেও সে সুবিধাটা কাজে লাগাতে দেননি সাকিব। নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আঘাত হেনেই পথ হারা করে দেন লঙ্কানদের। আর সাকিবের তৈরি করা মঞ্চে লঙ্কানদের প্রলয় নাচন নাচিয়ে ছেড়েছেন মোস্তাফিজ। দুই কুশলের এক কুশল মেন্ডিসকে পরাস্ত করলেন দারুন কৌশলে। সিরিজ জুড়ে লেগ সাইডে রান তোলা কুশলকে টানা অফ স্ট্যাম্পের ওপর বল করে নিয়ে গেলেন অস্বস্তির চরমে। আর শেষ বলটায় ফেললেন লেগে খেলার টোপ। আর সে টোপে পা দিয়েই উইকেটটা বিলিয়েই দিয়ে আসলেন যেন।

বাংলাদেশের কৌশলে লঙ্কানরা কতটা বিভ্রান্ত ছিলো তা বোঝা গিয়েছে থারাঙ্গার রান আউটেই। সেখানেই শেষ না করে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সানাকাকে পাঠালেন প্যাভিলিয়নে। এই মোস্তাফিজকেই তো চিনতো বাংলাদেশ, এই মোস্তাফিজেক প্রত্যাশায়ই কেটেছে এতটা দিন। কুশল ফেরানোর ওভারটা ছিলো উইকেট মেডেন। পরের ওভারে দিয়েছেন মাত্র চার রান। এমন সাকিব-মোস্তাফিজে লঙ্কার কি সাধ্য রান তোলার? তাই পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে উঠলো মাত্র ৩৫ রান। উইকেট? চারটি? বহুদিন পর বোলিংয়ে সোনালী শুরু করলো বাংলাদেশ।