মিয়ানমারে বিতর্কিত ভিক্ষু আসিন উইরাথু আবার সক্রিয়

মিয়ানমারে বিতর্কিত ভিক্ষু আসিন উইরাথু আবার সক্রিয়

চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারে বিতর্কিত ভিক্ষু আসিন উইরাথু-র ওপর সামাজিক সমাবেশে বক্তব্য রাখার এক বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। অবশ্য স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা আশা করেছিল, মুসলিম বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদানকারী ওই ভিক্ষুর ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াবে সরকার। কার্যত তা হয়নি।

ওই ঘটনায় দেশজুড়ে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, উইরাথু আবারও হয়তো মুসলিম বিরোধী ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্য রাখা শুরু করবেন।

ইতোমধ্যে আগামী ২৮ মার্চ দেশটির কেন্দ্রীয় সাগাইং অঞ্চলে এমন একটি ধর্মীয় সমাবেশের আহ্বান করা হয়েছে যেখানে উইরাথু বক্তব্য রাখবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। অন্যদিকে উইরাথুর ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে গত শুক্রবার নেতৃস্থানীয় প্রায় ৫০ ভিক্ষু তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে। ওই সংবর্ধনায় উইরাথু তাকে প্রচারমাধ্যমে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকদের দোষারোপ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক টাইম ম্যাগাজিন তাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রচ্ছদ কাহিনী করার মধ্য দিয়ে উইরাথুর ঘৃণাবাদী ধর্মীয় বক্তব্য বিশ্ববাসীর বিশেষ নজরে আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত থাকে।

সরকার কেবল ২০১৭ সালে তাকে সামাজিক সমাবেশগুলোয় বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে এর মধ্য দিয়েও তার উস্কানিমূলক কার্যক্রম থামানো গেছে কমই। তার সর্বশেষ উত্তেজক আচরণ ছিল অং সান সু চির অন্যতম রাজনৈতিক সহযোগী ও খ্যাতনামা মুসলমান আইনজীবী কো নি খুন হওয়ায় ফেসবুকে সমর্থনসূচক বক্তব্য প্রদান।